পাতা:যোগবাশিষ্ঠ রামায়ণ.djvu/৩৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S&8 যোগবশিষ্ঠ | আপাওমাত্ররমণং সম্ভাবরছিতান্তরং4 বেশ্বাস্ত্রীসঙ্গমপ্রখ্যং যৌবনং মেনরোচতে । ১৩ । রমণং রমণীয়ং সম্ভাবঃ শুভচিত্তত ।। ১৩ ৷৷ অস্যার্থঃ । হে ঋযে ! এই যৌবন আপাত রমণীয়, মধ্যে শুভজনক ভাব রহিত, অতএব বেশ্বা স্ত্রী সঙ্গ সদ্বশ এ অবস্থা আমার সন্তোষ জনিক নহে। ১৩ ৷৷ তাৎপৰ্য্য ।--প্রথমত যৌবনকাল অতি মনোহরণীয় হয়, কিন্তু মধ্যে তাহার কোন শোভন ভাব নাই, যেমন বেশ্যাদিগের সহিত সঙ্গ করায় আপাতত মনোরঞ্জন হয়, কিন্তু ঘণহাদিগের অন্তরে সদ্ভাবের অবস্থিতি নাই, অর্থাৎ কপটতা মাত্রই লক্ষ্য হয় সুতরাং বেশ্ব্যাবৎ যৌবনাবস্থার সমাদর কি ? ॥ ১৩ ॥ " অনন্তর প্রলয়কালের আগ্রদদুথানের ন্যায় যৌবনকালে সকল আপদিই উত্থিত হয়, তদষ্টাস্তে শ্রীরামচন্দ্র, ঋষিবরকে কহিতেছেন। যথা –( যে কেচনেতি) । যেকেচন সমারম্ভ স্তে সৰ্বেসৰ্ব্বদুঃখদাঃ । তারুণ্যেসন্নিধিং যান্তিমহোৎপাতাইবক্ষয়ে। ১৪ । সৰ্ব্বেষাং দুঃখদাযেকেচনসমারম্ভাস্তেসর্বে ইত্যন্বয়ঃক্ষয়ে প্রলয়ে। ১৪ ৷৷ অস্যার্থঃ । হে বিজ্ঞতম মহর্ষে ! মন্থষ্যের ক্ষয়কালে যে কিছু কৰ্ম্মারম্ভ হয়, সে সমুদায়ই দুঃখ দায়ক হইয়া উঠে, সেইরূপ যে কোন কৰ্ম্ম করুক না কেন যৌবন সন্নিধানে যে সকল কৰ্ম্মই উৎপাতের ন্যায় আগত হয়। ১৪ ॥ তাৎপৰ্য্য —ক্ষয় শব্দে প্রলয়, এ প্রলয়কে শ্রীরাম অহরহ জীবের মরণ কালকে লক্ষা করিয়া কহিয়াছেন। মুমুম্বকালে যে কিছু কৰ্ম্ম করে সে সকলই দুঃখের নিমিত্ত হয়, যেহেতু তৎকালে বুদ্ধির স্থিরতা নাই লোকের মতিচ্ছন্ন হয়, সুতরাং অশুভ জনক কৰ্ম্মই সেই সময় উদয় হইয়া থাকে, সেইরূপ যৌবনকালেও বুদ্ধির অস্থিরতা প্রযুক্ত যে যে ভোগ বিলাসীর্থ কৰ্ম্ম করে, সেই সেই কৰ্ম্ম তারুণ্যাবস্থার নিকটে আসিয়া দুঃখের কারণ হইয়া উঠে ইতিভাব ॥ ১৪ ৷৷ অনন্তর অন্ধকার রাত্রির সহিত যৌবনাবস্থার দ্বষ্টান্ত দিয়া রামচন্দ্র বিশ্বামিত্রকে কহিতেছেন। যথা –(হার্দীন্ধকায়েতি ) ৷