পাতা:যোগবাশিষ্ঠ রামায়ণ.djvu/৪৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s१8 যোগবাশিষ্ঠ । করিয়া লোক সকলের চিত্তকে চঞ্চল করিয়া থাকে। কিন্তু তাহাতও তাহার স্বাধীনতা নাই ইতিভাৰ ॥ ৩৭ ৷ হে বিজ্ঞতমমহলে ! ঈশুরায়ত্তেরূপবতী নারীগণ জহুরাগবিশিষ্ট সৰ্ব্বভাবাবেশে যদি বক্রনয়নে একবার অবলোকন করে, তবে মহাধৈর্য্যশালি বৈরাগাযুক্ত মহাশয়েরাও ধৈর্য্যদ্বারা আপন চিত্তকে স্থির রাখিতে পারেন না। কিন্তু ইহাও ঈশ্বরাধীন নারীলোকের স্বীয় ক্ষমতা . ইহাতে কিছুমাত্র নাই हेउिऊांवः ॥ ७४ ॥ অনন্তর সমস্ত দুঃখোপশমন হেতু উপায় প্রদর্শন দ্বার ক্রামচন্দ্র বিশ্বামিত্র ঋষিকে কহিতেছেন, তদৰ্থে শ্লোক উক্ত হইয়াছে। যথা –( পরোপকার কারিণোতি ) ৷ পরোপকারকারিণ্যা পরাৰ্ত্তিপরিতপ্তয়।। - - বুদ্ধএবমুখীমন্যে স্বাত্মশীতলয়াধিয়া ।। ৩৯ ৷৷ যুদ্ধঃবুদ্ধতত্ত্বঃ পুরুষঃ বোধশতিদুর্লভইতিভাবঃ।। ৩৯ ৷৷ • - ۹ ها - অস্যার্থঃ । হে মহর্ষিপ্রবর! বুদ্ধ জনগণের পরোপকার কারিণী, ও পরদুঃখে সন্তাপযুক্ত স্নিগ্ধ অর্থাৎ শীতলা বুদ্ধিদ্বারা যদি তত্ত্বজ্ঞানলাভ করতে পারে, তবে এই দুঃখসঙ্কট সংসারে থাকিয়াও সুখী হয়। ৩৯ ৷৷ , তাৎপর্যা –বুদ্ধ জনগণ পদে জ্ঞাততত্ত্বজন, ইহা অতি দুর্লভ, অর্থাৎ তত্ত্বজ্ঞ হইলেই সুখী হয়, তদ্ভিন্ন হয় না, তলক্ষণ এই ষে যাহাদিগের শুদ্ধ বুদ্ধি নিয়ত পরদুঃখে দুঃখিনী, পরোপকার নিরভ, এমন ব্যক্তিরই চিত্তে তত্ত্বজ্ঞানের উদয় হয, তাহা হইলে আর কোন দুঃখ থাকে না ইতিভাবঃ ।। ৩৯ ৷৷ অনন্তর রূপকবাজে ভবসমুদ্রের স্বরূপ বর্থনা করিয়া রঘুনাথ মুনিনাথ বিশ্বামিত্রকে কহিতেছেন, তদৰ্থে উক্ত হইয়াছে। যথা –(উৎপন্নধ্বংসিন ইতি)। উৎপন্নশ্বংসিনঃ কালবড়বানলপাতিন: | সংখ্যাতুং কেনশকান্তে কল্লোলাজীবিতাযুধে ॥ ৪০। স্নংসিত্বেহেতুঃ কালেতিভাবাইতিশেষ ॥ ৪ • । অস্যার্থঃ । হে কৌশিকবর ! এই ভবরপমহাসমুদ্রে ক্ষণবিনাশরুপ মহাতরঙ্গ উঠিতেছে,এবং কালস্বরূপ ৰত্নবানল নিয়ত প্রজ্বলিত অাছে। কিন্তু এই দুষ্পারজন্মসাগরে পতিত