“ও আমার গোপন কথা।”
“গোপন কথা! আমার কাছেও বলা চলে না?”
“না।”
মধুসূদনের গলা কড়া হয়ে এল, বললে, “এ তোমাদের নুরনগরি চাল, দাদার ইস্কুলে শেখা।”
কুমু কোনো জবাব করলে না। মধুসূদন তাকিয়া ছেড়ে উঠে বসল, “ওই চাল তোমার না যদি ছাড়াতে পারি তাহলে আমার নাম মধুসূদন না।”
“কী তোমার হুকুম, বলো।”
“সেই মোড়ক কে তোমাকে দিয়েছিল বলো।”
“হাবলু।”
“হাবলু! তা নিয়ে এত ঢাকাঢাকি কেন।”
“ঠিক বলতে পারি নে।”
“আর কেউ তার হাত দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে?”
“না।”
“তবে?”
“ওই পর্যন্তই, আর কোনো কথা নেই।”
“তবে এত লুকোচুরি কেন?”
“তুমি বুঝতে পারবে না।”
কুমুর হাত চেপে ধরে ঝাঁকানি দিযে মধু বললে, “অসহ্য তোমার বাড়াবাড়ি।”
কুমুর মুখ লাল হয়ে উঠল, শান্তস্বরে বললে, “কী চাও তুমি, বুঝিয়ে বলো। তোমাদের চাল আমার অভ্যেস নেই সে-কথা মানি।
মধুসূদনের কপালের শিরদুটো ফুলে উঠল। কোনো জবাব ভেবে না পেয়ে ইচ্ছে হল ওকে মারে। এমন সময় বাইরে থেকে গলা খাঁকারি