পাতা:রংপুর সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (সপ্তম ভাগ).pdf/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSV রঙ্গপুর-সাহিত্য-পরিষৎ পত্রিকা উদ্ভিদদেহ গঠনে এই উপকরণটিই সর্বপ্রথম। কারণ শতকরা ৪০ হইতে ৪৫ ভাগ এই উপকরণ উদ্ভিদদেহে বৰ্ত্তমান । কিন্তু ইহার সংগ্ৰহ বিষয়ে কৃষক সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিন্ত বা উদাসীন থাকিতে পারে এবং জমির উর্বরতা কোনও প্রকারে হানি না করিয়া ইহাকে সার পদার্থ হইতে সম্পূর্ণরূপে বহিষ্কৃত করিয়া দেওয়া যাইতে পারে। কারণ বায়ুমধ্যে নিহিত অঙ্গারামক বাষ্প (Carbonic acid ) হইতেই উদ্ভিদ তাহার প্ৰয়োজনীয় অঙ্গার গ্রহণ করিয়া থাকে । এবং এই बांधून भूद्ध स्त्रांद्राधिक दl८°ंद्र अश्या ভাণ্ডার। সুতরাং উদ্ভিদবৰ্দ্ধন পক্ষে অঙ্গারের বিষয় আর কিছু না বলিলেও বিশেষ ক্ষতি নাই। তথাপি উদ্ভিদ বায়ু হইতে কি প্রকারে অঙ্গার গ্রহণ করে এবং বায়ু কি প্রকারে অজারামক বাম্পের অক্ষয় ভাণ্ডার তদ্বিষয়ে সংক্ষেপে কিছু বলা অযুক্ত নহে । মনুষ্যাদি প্ৰাণিগণ উদ্ভিদ। অথবা যে কোনও আকারে হউক অঙ্গারঘটিত পদার্থ জীবনধারণ জন্য আহার করে এবং প্ৰতিনিয়ত বাতাস হইতে নিশ্বাসক্রিয়া দ্বারা আমজান গ্ৰহণ করে । দেহাভ্যন্তরে এই অম্লজান ভুক্ত অঙ্গারকে দগ্ধ করিয়া দেহক্রিয়ার আবশ্যকীয় উত্তাপ প্ৰদান করে। এই দাহন ক্রিয়ার ফলে অঙ্গারামক বাপ-যাহ প্ৰাশিগণ প্ৰশ্বাসক্রিয়ায় বায়ুমধ্যে পরিত্যাগ করে। ( উদ্ভিদ তাহার সবুজ পত্র দ্বারা বায়ু হইতে সেই অঙ্গারামক বাস্প নিঃশ্বাসরূপে গ্ৰহণ করে, এবং রাসায়নিক পণ্ডিতগণকে যে কাৰ্য্যসাধন করিতে অতি জটিল উপায় অবলম্বন করিতে হয়, উদ্ভিদের পত্রাভ্যন্তরে সেই অঙ্গারামুৰু বাষ্পবিশ্লেষণরূপ রসায়নকাৰ্য্য সূৰ্য্যকিরণ নিহিত উত্তাপের সাহায্যে অতি সহজে সম্পন্ন হইয়া থাকে। ठटुि দেহ গঠন জন্য অঙ্গার গ্ৰহণ করে এবং আমজান বাষ্প প্রশ্বাসরূপে ত্যাগ করে। উদ্ভিদ এবং প্ৰাণীর মধ্যে পরস্পর বিপরীত কাৰ্য্যের এরূপ একটি আবৰ্ত্তন ক্রিয়। ধারাবাহিক রূপে চলিতেছে। ইহাতেই বায়ুনিহিত অঙ্গারামক বাম্পের অক্ষয় সাম্যভাব থাকে। এই তত্ত্ব আলোচনা করিতে গিয়া কৃষিকাৰ্য্যের উৎপাদকত্ব বিষয়ে এক গুরুতর বিষয়ের মীমাংসায় উপনীত হওয়া যায়। শ্রমশিল্পই দেশের ধনোৎপত্তি এবং প্ৰকৃত উন্নতির কারণ। কিন্তু শ্রমশিল্পে দুইটি বিষয়ের আবশ্যক। একটি মূল অর্থাৎ উপাদান পদাৰ্থ, দ্বিতীয় সেই উপাদান পদার্থকে শিল্পজাত পদার্থে পরিণত করিবার প্রয়োজনীয় শক্তি । আমরা যতই কেন চেষ্টা করি না শিল্পজাত পদার্থ উৎপাদান করিতে উপাদান পদার্থের অনেক ংশ নষ্ট হইয়া থাকে। এই ক্ষতি নিবারণের জন্য আমরা চেষ্টা করিতে পারি, কিন্তু একেবারে নিরোধ করিতে পারি না। এই প্রকারে ঐ শিল্পদ্রব্য প্ৰস্তুত করিতে যে শুক্তি নিয়োজিত হয়, তাহারও আংশিক অপচয় হইয়া থাকে। উদাহরণস্থলে ধাতুকাৰ্য্যে অথবা বস্ত্রবয়ন শিল্পে দেখিতে পাওয়া যায় যে, উপাদান পদার্থ এবং শক্তি উভয়েরই অপচয় হইতেছে। উপাদানের অপচয় প্ৰত্যক্ষ, ৫ মণ ধাতু অথবা ৫ মণ তুলা এবং অন্য উপাদানে যে তৈজস পদাৰ্থ অথবা হইবে, তাহা সেই উপাদান সমষ্টি হইতে অনেক কম। সেই প্রকার ঐ সকল শিল্পজাত 四列颈1 r প্রস্তুত করিতে যে, শক্তি নিয়োজিত হয়, তাহার অনেকাংশ যন্ত্রাদির পরস্পর ঘর্ষণ জন্য বিরোধশক্তি দ্বারা এবং যন্ত্রাদির অসম্পূর্ণত জন্য অপচয় হয়। প্ৰযুক্ত সম্পূর্ণ শক্তির অনুপাতে