পাতা:রংপুর সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (সপ্তম ভাগ).pdf/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩১৯, ৩য় সংখ্যা ] পদ্মাপুরাণ ও দ্বিজবংশীদাস । ১৪৯ বলেন নাই। রামনাথ বাবু বলিতেছেন—“নারায়ণদেবের কাব্য উচ্চ অঙ্গের কাব্যের ন্যায় সম্পূর্ণ বিকাশ প্রাপ্ত হয় নাই। তাঁহার ভাষা গ্ৰাম্য ও শিথিল, তাহার ভাব অনেক স্থানেই ইতর ও অশ্লীল, এবং তঁাহার কল্পিত চিত্রগুলি নানাস্থানে নানারূপ ধারণ করিয়া বিকৃত । * * ক্ষেমানন্দ ও কেতকাদাসের রচনা আরও দূষিত । তাহদের রচনায় অনেকস্থলে ভাষাজ্ঞানের অভাব পরিলক্ষিত হয়। * * বংশীদাস মূল উপাখ্যানটিকে অতিশয় উপাদেয় করিয়া তুলিয়াছেন, । গাঢ়তাই তেঁাচার ভাষায় লক্ষণ ।। বংশীদাসের ভাষা সর্বত্রই তাহার ভাবের অনুগত।” রামনাথ বাবর এই মত সম্বন্ধে বিস্তুত আলোচনা করিবার আমাদের সম্প্রতি অবসর নাই ; তবে, সংক্ষেপত: বলা যাইতে পারে যে, তিনি আলোচ্য বংশীদাসের পদ্মাপুরাণেব সমালোচনা করিতে ধাইয়া, ७६(6ड अदर्द य३ ११ দেখিয়ছেন, এবং অন্যান্য সকলেরই দোষ দেখিয়াছেন গুণ ভাগের প্রতি লক্ষ্য করেন নাই। আমাদের ধারণ। রামনাথ বাবুর কথায় পক্ষপাতমূলক । অতিশয়োক্তি আছে। বংশীদাসের কাব্যে ও দোষ আছে । নারায়ণদেবের কাব্যে যে অশ্লীলতা, বংশীদাসে তাহা নাই কি ? রামনাথ বাবুর সম্পাদিত গ্রস্থের ১১০ পৃঃ, ৪১১ পৃঃ, 0DLD KS DD0 KS i DBD0 DS BBBDBDD BuB BDBBD DDD DDDuuDuD KSB SS BDBBBLS চন্দ্ৰধর ও কি “নানা স্থানে নানারূপ ধারণ করিয়া বিক্লােত” নছো ? দৃষ্টান্ত যথা,- “হেনকালে বেউল। কয় সনকার ঠাই । চান্দ বলে মারা পুত্ৰ সাগরে ভাসা ও । ভেড়য়া বান্ধিয়া দে ও বিলম্বে কাৰ্য্য নাই ৷ পুলি মৈল তার সঙ্গে কলা দিব ফাও ৷ তারে শুনি বাগানিয়া চলিল সত্বর । একছড়ি কলা বেচিমু নাও বুড়ি । ” খুজিলেক রামকলা চান্দের গোচর ॥ কোন দোষে দিব আমি হেন কলা ছড়ি ॥ লক্ষ্মীধর পুত্ৰ মৈল তারে গায় সয়। কলা গাছ কাটা গেলে পরাণ সংশয় ॥” ایچ ইহা সাধারণ বাণিয়ার কথা হইতে পারে ; কিন্তু চন্দ্রধরের মত বণিকরাজের উপযুক্ত হয় নাই। চন্দ্ৰধর কি এতই অর্থাপ্রিয় ? যদি তিনি এই প্ৰকার অর্থাপ্রিয় হইতেন, তবে নিশ্চয়ই বহুপূর্বে মনসার সহিত বিবাদ ভঞ্জন করিয়া ফেলিতেন । a অশ্লীলতা কাহাকে বলে, তাহার সংজ্ঞা রামনাথ বাবুর প্রস্তাবনায় নাই। নারায়ণদেবে যদি সামান্য আদি রসের উল্লেখ দেখিয়া তিনি বীতশ্রদ্ধ হইয়া থাকেন, তবে কালিদাস প্রভৃতি কবিকে ব্ৰহ্মপুত্রের জলে বিসর্জন করা প্ৰয়োজনীয় হইয়া উঠিবে। রামায়ণ; মহাভারত, প্ৰভৃতির পাঠ বন্ধ করিয়া দিতে হইবে। সাহিত্য দর্পণের সূত্র দ্বারা বা কোনও BDDD DBD DDSMuDuD DBDK DBBDBDBD BBD DDBBDB Dg DuuB BDD SS S তদানীন্তন সমাজের হৃদয়মুকুরে-কাব্য প্রতিফলিত হইয়াছিল। কিনা, তাহাই বিচাৰ্য্য। ৰংশীদাস । তাহার উদ্ভাবিনী শক্তিত্বারা অনেক স্থলে কাব্যের শ্ৰীবৃদ্ধি করিয়াছেন, সন্দেহ নাই; কিন্তু, অন্য কবিরা যে বিষয় রসিকতা কী বঙ্গেরভাবে বর্ণনা করিয়াছেন, তাহাতে সুরুচির ‘অভাব ।