পাতা:রংপুর সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (সপ্তম ভাগ).pdf/১৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७७२ রঙ্গপুর-সাহিত্য-পরিষৎ পত্রিকা লোকমুখে বৃন্দাবনের বৃত্তান্ত শুনিয়া শঙ্করদেব ও তদ্ভক্তদিগের বৃন্দাবন-দর্শনের অভিলাষ হয় । শঙ্করদেব তখন মাধবদেবকে বলেন :- আসা একে লগে সবে র্যাও বৃন্দাবন। আছে বৃন্দাবন দাস হয়ে দরিশন | যি সব ভক্তির ভাল করিছে বেকত । হুই নুই পুছি তাস্তু লৈবাহা সন্মত ৷ এই বৃন্দাবন দাস কে ? চৈতন্যভাগবতকার বৃন্দাবন দাসও হইতে পারেন (জন্ম »d ०१ ॐः शृङ्गा > «tz` शृः ) ।। *श्लेत न > « ७lz शृः লোকান্তরিত হন, সুতরাং চৈতন্যভাগবতকার শঙ্কর দেবের জীবদ্দশায় বিদ্যমান ছিলেন। দ্বিজ ভূষণ রচিত শঙ্করাচরিত্র অতি উপাদেয় । গ্ৰন্থ। অধিকাংশ শঙ্করাচরিত্র পুথিই নানা অলৌকিক বৰ্ণনায় পূর্ণ। দ্বিজ ভূষণ শঙ্করদেবকে ঈশ্বরাবতার বলিয়া স্বীকার করিয়াছেন ; কিন্তু তঁহার পুথিতে শঙ্করাচরিত্র আদ্যন্ত মানব চরিত্ররূপেই বর্ণিত হইয়াছে। এই পুথি নানা কারণে ঐতিহাসিকদিগের সমাদর যোগ্য। বর্তমান আসাম উপত্যকার প্রাচীন লৌকিক ইতিহাস এখনও সঙ্কলিত হয় নাই। ঐ বিষয়ে কিছু কিছু উপকরণ এই পুথি হইতে গৃহীত হইতে পারে। আহম-রাজত্বে উপর-আসামে বোধ হয় মুদার ন্যায় ধাতুখণ্ডও ব্যবহৃত হইত। ኛIቒኸ :--– দক্ষিণ হস্তক পাতিলন্ত ভ্ৰহ্মানন্দে । দিবাক লাগিল বিত্ত মনত আনন্দে ৷ কতো এক তোলা কতো তিনি মহাবিত্ত। অদ্ধ-তোলা তুচ্ছ নুহি দেন্ত রঙ্গ চিত্ত৷ তেখেনে পাইলেক বিপ্ৰে বিত্ত এক পোষ। বিত্ত পাই চিত্ত করে উল্লস মাল্লাস ৷ নিম্ন-আসামে কোচ-রাজিাদিগের অধিকারে কড়ি এবং টাকার প্রচলন ছিল :- পঞ্চ কাউন করি এক কহি আছে জানা । ব্ৰাহ্মণ সবক দিবা শুদ্ধির দক্ষিণ ৷ মাধবে বোলন্ত আরু করি আছে যেবে । টকা লৈয়া আমাক গণিয়া দিয়ে তেবে ৷ আরও নিয়ে মুসলমানাধিকারে “টাকার” পরিবর্তে রুপিয়া’ শব্দের উল্লেখ আছে। যথা দুই সন্ধ্যা আমি ভোজন করিলো দিলাহা দ্রব্য সমস্ত । মূল্য করি যিবা গণিয়া লৈয়োক চলি যাইবো তীর্থপথ ৷৷ দুই সন্ধ্যা দুই রুপিয়ার দ্রব্য লাগিল মনত জানি। নমস্কার করি কৃতাঞ্জলি ধরি গৃহস্তে বোলয় বাণি ৷ বিভিন্ন রাজাদিগের অধিকারে প্রচলিত মুদ্রার বিনিময়-কাৰ্য্য কড়ির দ্বারা সম্পাদিত হইত বোধ হয়। দ্বিজ ভূষণ বৰ্ত্তমান বড়পেটার সন্নিহিত কোনও গ্রামবাসী ছিলেন। অধুনা তদ্বংশীয় কেহ ৰিন্দ্যমান আছে কি না, জানা যায় না । ইনি সুকবি ও সুপণ্ডিত ছিলেন। সংস্কৃত ভাষায় হঁহার "যথেষ্ট অধিকার ছিল। নিয়ে একটি কবিতাংশ উদ্ধৃত করিয়া এই পুথির আলোচনা সমাপন করা গেল ।