পাতা:রংপুর সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (সপ্তম ভাগ).pdf/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন ১৩১৯, ৪র্থ সংখ্যা। ] অসমীয়া গ্ৰন্থবিবরণ S)\\ኃ°ስ ভাদ্রর মাসত, দুভাগ নিশাত, লাগিব চন্দ্ৰগ্ৰহণ ৷ ওবা চিত্ৰলেখী, খঞ্জরীট পক্ষী, আকাশে যাইবাক উড়ি । তেতিয়া ধরিয়া, পটাত বাটিয়া, সাজিবি তাহার বড়ি ৷ করত মৰ্দিয়া, গুরু সুমরিয়া, কপালত দিবি ফোট । অতি ক্ষুদ্রতর, কাল কলেবর, হুইবি মধুকরী গোট ॥ যাইবি নিশাকালে, কুন্দ্ৰাক্ষর জালে, পশিবি গৃহ ভিতর } কুমারক পাইবি, তিলক পিন্ধাইবি, কুমার হুইবে ভ্ৰমর ॥ পিঠি ভাগে লইয়া, উড়ার করিয়া, কুন্দ্ৰাক্ষ জালে বজায়া । রন্থত চড়িয়া, কোট মলচিয়া, পাছে হুইবি নিজ কায়া ৷ এদিকে ‘চিত্ৰলেখীকে” “হরণলুকী’ মায়ার উদ্যোগে নিযুক্ত করিয়া দেবমি নারদ তাহার চিরাভ্যস্ত কৰ্ম্মটি করিলেন, অর্থাৎ দ্বারকায় যাইয়া শ্ৰীকৃষ্ণকে কুমার অনিরুদ্ধের রক্ষার উপায় করিতে কহিলেন । বলা বাহুল্য, বৃষ্ণিকুলের সকল যত্ন ব্যর্থ করিয়া চিত্ৰলেখী অলক্ষিতে “কুমারহরণ” সম্পন্ন করিল। পূৰ্ব্বকালে কামরূপভূমি মন্ত্রতন্ত্র ও নানা অমানুষী মায়ার জন্য লোকবিশ্রুত ছিল। রেল ও জাহাজের চলাচল এবং বর্তমান প্রশস্ত রাজপথ সকল নিৰ্ম্মিত হওয়ার পূৰ্ব্বে, বঙ্গদেশীয় লোকেরা মনে করিত এদেশীয় স্ত্রীলোকেরা যাদুকরী । মায়াপ্রভাবে ইহারা মনুষ্যদেহ ভেড়ার আকারে পরিণত করিতে পারে। এই সকল বৃত্তান্তের মূলে কোন ও সত্য নিহিত আছে কিনা, সন্দেহের বিষয়। কিন্তু প্ৰাচীনকাল হইতে মস্তুতন্ত্র প্রভৃতিতে বিশ্বাস ও ঐ সকলের নানা অনুষ্ঠানের নিদর্শন বিরল নতো। “কুমারহরণ” ব্যতীত আরও অনেক প্রাচীন গ্রন্থে নানা অমানুষী মায়া বর্ণিত আছে। কুমার অনিরুদ্ধ বাণ-রাজপুরীতে আনীত হইলে চিত্ৰলেখী তাহার ভোজনের নিমিত্ত যে আয়োজন করিয়াছিল তাহা এই ;- বহুবিধ সংযোগে সাজিল পরমান্ন। পিষ্টক সাজিল তাই নানাবিধ ঠান ৷ মশুর ডালিত ঘৃত চিনি চুড়া দিল। আতি জল করি তাক মসুরে রঞ্জিল ৷ আদা লোণ ঘণী জীীরা মরীচক দিল । ভাজিলে খাসির মাংস বাথরে রঞ্জিল ৷ পারাবত আনি তাই করিলেক তলা । কচ্ছপয় মাংসত দিলেক বরকলা ৷ হরিণার মাংস সমে হিঙ্গর ফোড়ন । রম্ভামূলে বরােহর মাংস বিতোপন৷ চিত্ৰফণী (চিতনত) চিত্ৰলেখা দিলেক কাপুর। বড়ালীর ঘাণ্টি লাড়ি মৎস্তত মসুর ॥ কচে বচে বেসুয়ারি শৌলে মূলে সঙ্গ। ডড়িকে বেঙ্গনে আড়ি মাছত পালঙ্গ ৷ কাঠি অরা করে তাই ইলিহ কান্দোল । জামীর শোলঙ্গ দিয়া লফার আমোল ৷ স্বতর তেলনী দিয়া মৌয়ে সমে ঝোল। আছোক ভুঞ্জিবে তাক গন্ধতে আমোল ৷