পাতা:রংপুর সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (সপ্তম ভাগ).pdf/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন ১৩১৯, ৪র্থ সংখ্যা ] উদ্ভিদ-তাহার উপকরণ ও বৰ্দ্ধন । > QG এবং ঐ জমিতে বিনা সারে ৭০ বুশেল ( এক বুশেল গোধুম - ৬০ পাউণ্ড বা ৩০ সের) মাত্র গোধূম হইয়াছিল। একটি প্রস্তরসস্কুল পৰ্ব্বতপার্শে সার না দিয়া একর প্রতি ৩, ১৫২ টন খামার বাড়ীর সারা দিয়া ৯ এবং পুর্ণাঙ্গ রাসায়নিক সারা দিয়া ৩৩ বুশেল গোধূম হইয়াছিল । অন্যত্র অতিশয় অনুর্বর জমিতে যথেষ্ট পরিমাণ খামার বাড়ীর সারা দিয়া একর প্রতি ৯ হইতে ১১ বুশেল এবং রাসায়নিক সার ব্যবহারে ২৭॥০ হইতে ৩৩ বৃশেল গোধূম হইয়াছিল। খামার বাড়ীর সারে যথেষ্ট পরিমাণ হিউমস ( উদ্ভিদ ) পদার্থ থাকা সত্ত্বেও রাসায়নিক সারে অধিক ফসল উৎপন্ন হওয়াতে স্পষ্টই বুঝিতে হইবে হিউমস পদার্থের বিশেষ উপযোগিতা নাই । সুতরাং অতি অল্প সংখ্যক পরীক্ষার দ্বারাই কৃষিকার্যো জমিতে কি কি পদার্থ সার দেওয়া উচিত, তাহা অবধারণ হইতে পারে। কোন রাসায়নিক পণ্ডিতই জমিতে কি কি পদার্থ আছে তাহ নিৰ্ণয় করিয়া জমিতে কি কি পদার্থের সার দিতে হইবে তাহা নিশ্চয় বলিতে পারেন না । কারণ রাসায়নিক পরীক্ষাতে উদ্ভিদের গ্রহণোপযোগী অবস্থায় থাকে না এরূপ অনেক উপকরণ জমিতে °ॐ शांश्च, यश्! ऐांश्*|- দুই প্ৰকার বালি আছে। ইহার এক প্রকারের ( অর্থাৎ ফেলসপার প্রস্তার হইতে উদ্ভূত) বালিতে পোটাস, চূণ এবং ফসফরিক এসিড আছে। রাসায়নিক পরীক্ষায় উদ্ভিদের উপকরণ এই পদার্থগুলি জমিতে পাওয়া গেলেও সেই বালি তহঁতে বৃক্ষ ঐ সকল পদার্থ কখনও গ্ৰহণ করিতে পারে না । কোন এক কৃষি পরীক্ষাক্ষেত্রে এক একর ভূমির উপরের স্তরের ৪০ ০০ ০০ টন মাটির রাসায়নিক পরীক্ষায় झन्झतिक এসিড ১৪ হািন্দর, পোটাস ১৮ হািন্দর, চূণ ১৫ টন। ১৫ হনদীর পাওয়া গিয়াছিল। এই পদার্থগুলি ঐ জমিতে যথেষ্টই ছিল বলিতে হইবে । কিন্তু কেবলমাত্র যবক্ষারজান-ঘটিত সারা দিয়া ভূট্টা ফসল ৪ বৎসরকাল উৎপন্ন করায় চতুৰ্থ বৎসরে একর প্রতি কেবল মাত্র ৫৷০ হইতে ৬০ বুশেল শস্ত হইয়াছিল। ধাতব সারের অভাবেই শস্ত কম হইয়াছিল বলিতে হইবে । কিন্তু ৪ বৎসরে ভুট্টা ফসল ফসফরিক এসিড ৭৫ পাউণ্ড, পোটাস ৮১ পাউণ্ড, চূণ ৩৫ পাউণ্ড গ্ৰহণ করিয়াছিল। রাসায়নিক পরীক্ষায় ঐ জমিতে যে পরিমাণে ঐ সমস্ত পদার্থ পাওয়া গিয়াছিল, তাহার তুলনায় ফসলে যাহা গ্ৰহণ করিয়াছিল, তাহা অতি অল্প, অথচ ধাতব সারের অভাবে বা নৃত্নতায় শস্ত কম হইয়াছিল। এই পরীক্ষায় কোন প্রকার ভ্রম ছিল না। সুতরাং বলিতে হইবে রাসায়নিক পরীক্ষাতে প্ৰাপ্ত ঐ পদার্থগুলি জমিতে এমত অবস্থায় ছিল, যে অবস্থায় তাহারা উদ্ভিদের গ্রহণোপযোগী নহে। ভূমির রাসায়নিক পরীক্ষা দ্বারা কৃষিকাৰ্য্যবিষয়ে বিশেষ ফল নাই। কিন্তু ইহা অন্য উপায় দ্বারা সিদ্ধান্ত করিতে হইবে এবং সেই উপায় কৃষকের চিরপরিচিত। পূর্ব প্রকরণে বলা হইয়াছে, উদ্ভিদ দুই শ্রেণীতে বিভক্ত। এক শ্রেণী স্বাধীন যবক্ষারজান বাষ্প বায়ু হইতে গ্ৰহণ করিতে সমৰ্থ, অপর