পাতা:রংপুর সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (সপ্তম ভাগ).pdf/১৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

A রঙ্গপুর-সাহিত্য-পরিষৎ পত্রিকা শ্রেণী ঐ শব্বক্ষারজান পদার্থ য়্যামোনিয়া এবং নাইটেটরূপে ভূমি হইতে গ্ৰহণ করিয়া থাকে। যে শ্রেণীর উদ্ভিদ বায়ু হইতে যবক্ষারজান গ্ৰহণ করিয়া থাকে, জমিতে যবক্ষারজান-ঘটিত পদার্থের অভাবে ও পোটাস, ক্যালসিক ফসফেট এবং চুণ পুর্ণাঙ্গ সারের এই তিনটি পদার্গ মাত্ৰ থাকিলেই তাহারা অতি উত্তমরূপে জন্মিয়া থাকে। কিন্তু যে শ্রেণীর উদ্ভিদ ভূমি হইতে যবক্ষার জান গ্ৰহণ করিয়া থাকে তাহাদিগকে ঐ জমিতে উৎপন্ন করিলে જો ફૂલન অতি অল্প শস্য হইবে । সুতরাং এই সামান্য পরীক্ষা দ্বারাই নির্দিষ্ট জমিতে যথেষ্ট যবক্ষার জান এবং ধাতব পদার্থ আছে কি না, তাহ নিৰ্দ্ধারণ করা যাইতে পারে । যদি এক খণ্ড জমিতে পাশাপাশি মটর এবং গোধূম অথবা মটর এবং বীটমূল উৎপন্ন করিয়া দেখা যায় যে মটর উত্তম হইল, কিন্তু গোধূম অথবা বীটমূল ভাল হইল না, তাহা হইলে নিশ্চিতরূপে বুঝিতে হঠবে যে ঐ জমিতে ধাতব পদার্থ যথেষ্ট আছে, কিন্তু যবক্ষারজানঘটিত পদার্থ নাই বা যথেষ্ট নাই। কিন্তু ঐ জমিতে যদি মটর এবং গোধূম বা বীটমূল উভয়ই সমান ভাবে অতি উত্তম হয়, তাহা হইলে ঐ জমিতে যবক্ষারজান এবং ধাতৰ পদার্থ দুই-ই যথেষ্ট আছে বুঝিতে হইবে। যদি কোন ভূমিখণ্ডে মটর এবং গোধূম উভয়ই ভাল না জন্মে, তাহা হইলে বুঝিতে হইবে উহাতে পূর্ণাঙ্গ সারের চারিটি উপকরণেরই অভাব আছে। কিন্তু এই সামান্য পরীক্ষা কৃষিকাৰ্য্যের সম্বন্ধে যথেষ্ট এবং এই দুইটি বিষয় অবগত হইয়াই কাৰ্য্য করা নিরাপদ নহে। পোটাস, ক্যালসিক ফসফেট, চূণ এবং যবক্ষারজান-ঘটিত পদার্থ পূর্ণাঙ্গসারের চারিটি উপকরণের কোনটি জমিতে আছে এবং কোনটি নাই, তাহা পৃথক পৃথক ভাবে জানা প্রয়োজন। পূর্বের ন্যায় এই বিষয়টির নিৰ্দ্ধিারণও অতি সহজ-সাধ্য। যথা—এক খণ্ড ভূমিকে পাশা পাশি ছোট ছোট সাত অংশে বিভক্ত করিয়া প্ৰথম খণ্ডে পুর্ণাঙ্গ সার, দ্বিতীয় খণ্ডে যবক্ষার জানঘটিত পদার্থ ভিন্ন ঐ 开忆颈可 অপর তিনটি পদার্থ, তৃতীয় খণ্ডে ক্যালসিকাফসফেট পদার্থ ভিন্ন অপর তিনটি, চতুর্থ খণ্ডে পোটাস ভিন্ন অপর তিনটি, পঞ্চম খণ্ডে চুণ ভিন্ন অপর অপর তিনটি, ষষ্ঠ খণ্ডে কেবল মাত্র যবক্ষারজান-ঘটিত পদার্থ ও সপ্তম খণ্ডে কোন প্রকার সার পদার্থ না দিয়া cशाभूभ অথবা বীটমুল যাহা সুবিধা হয় উৎপন্ন কর। এক্ষণে প্ৰথম খণ্ডে উৎপন্ন ফসলের সহিত অন্যান্য খণ্ডে উৎপন্ন ফসলের তুলনা করিলেই ঐ জমিতে কোন পদার্থ কত আছে বা না আছে, তাহ নিশ্চয়রূপে জানা যাইবে । ফ্ৰান্সদেশের ভিনীসিনিস। কৃষিক্ষেত্রে কৃষিবিদ। ভিলিসাহেব ১৮৬৪ খৃষ্টাব্দে গোধুম পরীক্ষা করিয়া নিম্নলিখিত রূপ ফল পাইয়াছিলেন— পুর্ণাঙ্গসারে একর ෙifම් ৪৩। বুশেল চুণ ভিন্ন ঐ Jy 89 পোটাস ভিন্ন ঐ' 9 כ9א , ফসফেট ভিন্ন ঐ ૨૭ િ ,