পাতা:রংপুর সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (সপ্তম ভাগ).pdf/৩১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ĈSR অষ্টম বর্ষের কাৰ্য্য-বিবরণ সুবৃহৎ বিষ্ণুমুষ্টি এবং একখানি প্রস্তরফলক প্ৰদৰ্শিত হইল। প্রস্তরফলকে নিম্নোক্ত শ্লোকটি লিখিত আছে। শ্ৰীরামঃ ৷ শকাব্দঃ ১৬৯১ ৷৷ শাকে গাঙ্কস্তিরাপেমিত ইহ সততং কৃষ্ণচন্দ্ৰাত্মজোহাজং ধ্যায়ন্নাক্তব্যঞ্জযুগ্মাদ্বিগলিতম মৃতং পাতুমন্তে মুরারেঃ । রায় শ্ৰীবৈদ্যনাথ ক্ষিতিপতি হরিণ পুর্ণচেতোহভিলাষঃ F. প্ৰাসাদং বিষ্ণবেহদা দ্বিজগণপুরাতঃ শ্ৰীলগঙ্গাপ্ৰসাদ; ৷ শ্ৰী; ৷ ংগ্রাহককে ধন্যবাদ-প্ৰদান-পুৰ্ব্বক উহা চিত্রশালায় গৃহীত হইল । সভাপতি মহাশয় স্বয়ং প্ৰস্তাব করিলেন যে, লণ্ডনে মহামান্য ভারত-সমাট পঞ্চমজর্জের নেতৃত্বে অনুষ্ঠাতব্য আন্তর্জাতিক ঐতিহাসিক মহাসভায় যোগদানের নিমি ও রাজসাহী বিভাগের ভূতপূৰ্ব্ব কমিশনার শ্ৰীযুক্ত এফ, জে, মোনাহান স্কোয়ার আই, সি এস মহোদয়কে এই সভার পক্ষ হইতে প্ৰতিনিধি নির্বাচন করা হয় । সাদরে সর্বসম্মতিতে এই প্ৰস্তাব পরিগৃহীত হইল। সভাপতি মহাশয়ের অনুরোধ ক্ৰমে শ্ৰীযুক্ত পণ্ডিত অন্নদাচরণ বিদ্যাল স্কার সহঃ-সম্পাদক মহাশয় পণ্ডিত শ্ৰীযুক্ত যোগেন্দ্ৰচন্দ্ৰ বিদ্যাভূষণ মহাশয়ের লিখিত “পুরীষ্যাগ্নি বা গ্যাস আলোকের ইতিবৃত্ত” এবং শ্ৰীমুক্ত পণ্ডিত বিপিনচন্দ্ৰ কাব্য রত্ন মহাশয়ের লিখিত “কালঞ্জেশ্বরী” প্ৰবন্ধদ্বয় পাঠ করিলেন । প্ৰবন্ধালোচনা-প্রসঙ্গে শ্ৰীযুক্ত কালীকান্ত বিশ্বাস মহাশয় প্রথম প্ৰবন্ধের সম্বন্ধে বলিলেন, অগ্নির নামকরণ সম্বন্ধে বলা যাইতে পারে যে, তাহার কোনও সত্তাই নাই । কারণ আমজানের সহিত গ্যাসের মিলনে অগ্নির উৎপত্তি হয় । ইহা পদার্থ-বাচ্য হইতে পারে না । শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্রনাথ লাহিড়ী বি, এল, মহাশয় এই প্রসঙ্গে বলিলেন যে, বহুকাল হইতে তিনি আলেয়ার উৎপত্তি ও গতি ইত্যাদি সম্বন্ধে আলোচনা করিয়া আসিতেছেন। তঁহার বাটীর পাশ্ববত্তী পঙ্কিল পুষ্করিণী হইতে গ্যাস সংগ্ৰহ করিয়া তিনি উজ্জ্বল আলোক প্ৰস্তুত করিয়াছিলেন । এই গ্যাস হইতেই আলেয়ার উৎপত্তি সুতরাং ইহা পদার্থ-বাচ্য নহে। পৃথক দুইটি বস্তুর সংযোগ-ক্রিয়ার ফলমাত্র। শ্ৰীযুক্ত সুরেন্দ্ৰচন্দ্র রায় চৌধুরী সম্পাদক মহাশয় দ্বিতীয় প্ৰবন্ধ সম্বন্ধে বলিলেন, প্ৰবন্ধরচয়িতা এককালে এই সভা ও সমগ্ৰ হিন্দু-সমাজের ধন্যবাদের পাত্ৰ হইয়াছেন । র্তাহার চেষ্টায়। এরূপ একটি পুণ্যকীৰ্ত্তির নিদর্শন এবং হিন্দুর পুণ্যতীর্থরক্ষা হইবার উপায় হইয়াছে। এই খুরাকীৰ্ত্তি-রক্ষায় দিনাজপুরের মহারাজের দৃষ্টি আকৰ্ষিত হইয়াছে। ইহার নিকটবৰ্ত্তী বৃহৎ পুষ্করিণী খনিত হইয়াছে। এখন মন্দিরটির সংস্কার হইলেই পুরাকীৰ্ত্তিটি রক্ষা পায়। অনন্তর সভাপতি মহাশয় ডাক্তার জগদীশচন্দ্ৰ বসু কর্তৃক সম্প্রতি “ইনভিসিবল লাইট” বিষয়ক বক্ততার উল্লেখ করিলেন। ডাক্তার বসু আলো ধরার জন্য নূতন যন্ত্র আবিষ্কার