গ্রহণ করিত, তাহা হইলে তাহাদের প্রত্যেক পত্রের নিমিত্ত চারি আনা হিসাবে গ্রহণ করিয়া অবশিষ্ট পত্রগুলি যে যে স্থানে বিলি করা আবশ্য়ক, সেই সেই স্থানে বিলি করিত।
গোবিন্দ যে কেন এইরূপ অসৎ উপায় অবলম্বন করিয়া অপরের পত্র গ্রহণ করিত, তাহার কিছু অর্থ পাঠকগণ বুঝিতে পারিয়াছেন কি? যদি না পারিয়া থাকেন, তাহা হইলে আমি আপনাদিগকে বুঝাইয়া দিতেছি।
কলিকাতা সহর আজকাল ঔষধের বিজ্ঞাপনে পরিপূর্ণ। ইহার মধ্যে সকলই যে নিতান্ত অসার ঔষধ, তাহা নহে; তাহার মধ্যে কতকগুলি ঔষধ ভাল বলিয়া লোকে অবগত আছে, এবং সেই সকল ঔষধ একরূপ বিক্রয়ও হইয়া থাকে। পাঠকগণ ইহাও অবগত আছেন যে, মফঃস্বলের লোকই সেই সকল ঔষধ অধিক পরিমাণে ক্রয় করিয়া থাকেন। আরও অবগত আছেন, যে নামে ও ঠিকানায় সেই সকল ঔষধের বিজ্ঞাপন বাহির হয়, সেই সকল নামে ও ঠিকানায় মফঃস্বলের গ্রাহকগণ সেই সকল ঔষধ ভেলুপেয়েবল পোষ্টে পাঠাইবার নিমিত্ত অনুরোধ করিয়া পত্র লিখিয়া থাকেন।
যে সকল পত্রে উক্তরূপে ওষধ পাঠাইয়া দিবার নিমিত্ত লেখা থাকিত, গোবিন্দচন্দ্র সেই সকল পত্র অন্যান্য পত্রের মধ্য হইতে বাছিয়া বাছিয়া প্রত্যহ দুই চারিখানি গ্রহণ করিত, এবং মফঃস্বলবাসী সেই সকল নিরীহ লোকদিগের নামে সেই ঔষধ বলিয়া অন্য কিছু ভেলুপেয়েবল ডাকে পাঠাইয়া দিয়া তাহার যথেষ্ট মূল্য আদায় করিয়া লইত। বলা বাহুল্য, যিনি প্রকৃত মূল্য দিয়া সেই ঔষধ গ্রহণ করিতেন, তাঁহার রীতিমত অর্থ ব্যয় হইত; কিন্তু ঔষধের