বার পয়সা ডাকিল, অমনি সকলে চুপ করিল। সুতরাং সেই দ্রব্য যিনি সর্ব্বশেষে ডাকিয়াছেন, তাঁহারই হইল। আগন্তুক সবিশেষ হৃষ্ট অন্তঃকরণে সেই দ্রব্যটী আপন হস্তে গ্রহণ করিয়া তাঁহার ব্যাগ হইতে বারটা পয়সা বাহির করিয়া দিল। ব্যাগ হইতে সেই পয়সা বাহির করিবার কালীন জুয়াচোরগণ দেখিয়া লইল, তাঁহার নিকট আর কতগুলি টাকা আছে। তাহার পরই উহার সহিত গোলযোগ আরম্ভ করিল, যদি উহার নিকট আর সাত টাকা থাকে, তাহা হইলে সেই দ্রব্য-বিক্রেতা বলিয়া উঠিল, “কি মহাশয়! কেবল পয়সা বারটী দিলেন, টাকা কয়েকটী দিলেন না?” আগন্তুক বিস্মিত হইয়া কহিল, “সে কি মহাশয়! টাকা কিসের?” উত্তরে বিক্রেতা কহিল, “কেন, ওই দ্রব্য যে আট টাকা তিন আনায় বিক্রীত হইয়া গেল। আপনি কি ভাবিতেছেন যে, কেবল তিন আনায় আপনি ওই দ্রব্য প্রাপ্ত হইলেন?” দোকানদারের এই কথা শুনিয়া, আগন্তক একবারে বিস্মিত হইয়া পড়িল। দেখিল, ক্রেতারূপী জুয়াচোরগণও সেই দোকানদারের কথা সমর্থন করিয়া কহিল, “দোকানদার মহাশয় যাহা কহিতেছেন, তাহা প্রকৃত। ওই দ্রব্যের ‘বিট’ প্রথমেই আটটাকা হইতে আরম্ভ হইয়া জাট টাকা তিন আনায় বিক্রীত হইয়াছে।”
এই কথা শুনিয়া আগন্তুক চতুর্দ্দিক অন্ধকার দেখিল, এবং উহাদিগের সকলের ভাব-গতি দেখিয়া অনন্যোপায় হইয়া সেই দ্রব্য গ্রহণ করিতে অসম্মত হইল; কিন্তু যখন দেখিল, সেই দ্রব্য গ্রহণ না করিলে তাহার আর উপার নাই, তখন তাহার নিকট যে সাত টাকা ছিল, তাহা প্রদান করিয়া পরিশেষে অব্যাহতি পাইল। আর যদি সে একটু উগ্রমূর্ত্তি ধারণ করিয়া সেই টাকা