বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রকম রকম - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০
দারোগার দপ্তর, ৮২ম সংখ্যা।

প্রদান করিতে অসম্মত হইলে, তাহা হইল সেই দোকানের সমস্ত লোক একত্র হইয়া বল-পুর্ব্বক তাহার নিকট যে কিছু অর্থ পাইল, তাহা কাড়িয়া লইয়া তাহাকে সেই স্থান হইতে বহিষ্কৃত করিয়া দিল। অনন্যোপায় হইয়া সে তখন আস্তে আস্তে আপন দেশ অভিমুখে প্রস্থান করিল। আর এইরূপে ঠকিয়া কোন ব্যক্তি যদি কলিকাতাবাসী কোন লোকের পরামর্শ মত থানায় গিয়া নালিশ করিলেন, তাহা হইলে পুলিস-কর্ম্মচারীও তাঁহার অভিযোগ শ্রবণ করিয়া এই মোকদ্দমার অনুসন্ধানে নিযুক্ত হইলেন বটে; কিন্ত কার্য্যে কিছুই করিয়া উঠিতে পারিলেন না। সেই পল্লীগ্রাম-নিবাসী লোকটীর সপক্ষে একটীমাত্রও প্রমাণ সংগৃহীত হইল না। অধিকন্তু জুয়াচোরগণ একত্র মিলিত হইয়া সেই নিলাম-কার জুয়াচোরের পক্ষ-সমর্থন করিয়া, ফরিয়াদীর বিপক্ষে সাক্ষ্য প্রদান করিল, ও ইহাই প্রতিপন্ন করিয়া দিল যে, দোকানদারের কিছুমাত্র অপরাধ নাই; সমস্ত দোষই সেই মফঃস্বল-বাসীর।

 এইরূপে কত নিরীহ মফঃস্বলবাসী-লোক সুলভ মূল্যে নিলামে দ্রব্যাদি ক্রয় করিতে গিয়া নিত্য যে কত জুয়াচোরের হস্তে পড়িতেছেন, তাহার আর সংখ্যা নাই।

 ইহা ব্যতীত মফঃস্বলবাসীগণকে ঠকাইয়া লইবার নিমিত্ত কোন কোন জুয়াচোর নিলামের ন্যায় আর এক প্রকার জুয়াচুরির দোকান খুলিয়া বসিয়া আছে, এবং দোকানের ভিতর প্রবেশ করিয়া নিত্য কত লোককে যে ঠকাইতেছে, তাহার ইয়ত্তা নাই। এই দোকানও নিলামের দোকান-সদৃশ; দোকানের সম্মুখে নিলামের ন্যায় ঘণ্টাও বাজিয়া থাকে। সেই দোকানে নিলাম হইতেছে ভাবিয়া, মফঃস্বলবাসীগণ প্রায়ই সেই দোকানে