করিতে যত্নশীল হন। সুতরাং যে সকল বালক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাধি প্রাপ্ত হন, সেই সকল বালকের উপরই তাঁহাদিগের প্রধান লক্ষ্য হয়। এইরূপে দুই চারিজনের লক্ষ্য একটী বালকের উপর পতিত হইলেই সেই বালকের পিতা মাতাও সেই সুযোগ অবলম্বন করিয়া আপনাদিগের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করিয়া থাকেন। এরূপ অবস্থায় অর্থের প্রতিযোগিতা ভিন্ন কেহই সেই বালককে হস্তগত করিতে পারেন না। এই সকল কারণেই যে বালক বিশ্ববিদ্যালয়ের যেরূপ উচ্চ পদবী প্রাপ্ত হইয়াছে, তাহার বিবাহে সেইরূপ পরিমাণে অর্থ গ্রহণ করা হইয়া থাকে। এইরূপ অবস্থা হইতেই ক্রমে শিক্ষিত ও অশিক্ষিত সকল বালকেরই প্রায় একরূপ মূল্য (?) স্থির হইয়া পড়িয়াছে, এবং সময় সময় ইহার মধ্যে অনেক প্রকার জুয়াচুরি হইতেও আরম্ভ হইয়াছে। এ সম্বন্ধে পাত্র ও কন্যা উভয় পক্ষেরই একটী একটী জুয়াচুরির বিষয়, পাঠকগণকে সতর্ক করিবার নিমিত্ত নিম্নে বর্ণিত হইল।
(ক) কন্যাপক্ষের জুয়াচুরি।
কন্যার পিতা রামরতন, এই কলিকাতার একজন গৃহস্থ। টাকা-কড়ি অধিক নাই, কোনরূপে সংসারযাত্রা নির্ব্বাহ করিয়া থাকেন মাত্র। নিজের একখানি বাড়ী আছে, তাঁহার কন্যার বয়ঃক্রম প্রায় বার বৎসর হইল; কিন্তু এ পর্য্যন্ত তাহার বিবাহের কিছুমাত্র স্থির করিয়া উঠিতে পারেন নাই। অথচ তাঁহার ইচ্ছা যে,