নিকট গমন করিবেন। সেই সময় দেনা পাওনা সম্বন্ধে কথা বার্ত্তা হইবে। পাত্রী আমার মনোনীত হইয়াছে। ইনি খুব সুরূপা না হউন, ইহাকে আমার পুত্ত্রবধূ করিতে আমার কোনরূপ আপত্তি নাই।”
পরদিবস কথিত সময়ে রামরতন পাত্রের পিতার নিকট গিয়া উপস্থিত হইলেন; এবং তাঁহাকে কহিলেন, “মহাশয়ের যদি পাত্রীটী পসন্দ হইয়া থাকে এবং আমার কন্যার সহিত আপনার পুত্ত্রের বিবাহ দিবার মতও যদি আপনার পরিবারবর্গের হইয়া থাকে, তাহা হইলে আমাকে কি কি আয়োজন করিতে হইবে, তাহা আমাকে বলিয়া দিন; যদি আমার সাধ্য হয়, তাহা হইলে আমি তাহার চেষ্টায় নিযুক্ত হই।”
রামরতনের কথা শুনিয়া পাত্রের পিতা কহিলেন, “আমি আপনাকে ত একরূপ পূর্ব্বেই বলিয়া দিয়াছি। যদি চাহেন, তাহা হইলে আমি একটা ফর্দ্দ করিয়া আপনাকে দিতেছি। আপনি যদি তাহাতে সম্মত হন, তাহা হইলে আপনি যাহা জানিতে চাহিতেছেন, তাহার সমস্তই স্থির হইয়া যাইবে।”
এই বলিয়া তিনি তাঁহার বাক্স হইতে একটী ফর্দ্দ বাহির করিয়া রামরতনের হস্তে প্রদান করিলেন। সেই ফর্দ্দখানির মর্ম্ম এইরূপ;—
বরাভরণ—
সোণার ঘড়ি একটী |
৩০০৲ |