করিলেন। রামরতন বাবু তাঁহাকে প্রতারণা করিয়াছেন বলিয়া, তিনি তাঁহার নামে এক ফৌজদারী মোকদ্দমা আরম্ভ করিলেন। রামরতন বাবু কন্যার বিবাহের নিমিত্ত একে ত জুয়াচুরি করিয়াছিলেন; যখন দেখিলেন, তাঁহার বিপক্ষে ফৌজদারী মৌকদ্দমা উপস্থিত করা হইয়াছে, তখন তিনি মিথ্যা বলিতে আরম্ভ করিলেন। মাজিষ্ট্রেট সাহেবের সম্মুখে উপস্থিত হইয়া তিনি কহিলেন, “ধর্ম্মাবতার! আমি আমার যথা-সর্ব্বস্ব বিক্রয় করিয়া স্বর্ণ-অলঙ্কার প্রভৃতি যাহা কিছু আমার দিবার কথা ছিল, তাহা আমি সমস্তই প্রদান করিয়াছি। বিবাহের পর দিবস আমার বাড়ী হইতে আমার কন্যাকে লইয়া যাইবার পূর্ব্বে, আমার বৈবাহিক মহাশয় আমার প্রদত্ত সমস্ত অলঙ্কারগুলি উত্তম রূপে স্বচক্ষে দেখিয়া লন; কিন্তু তাহাতেও সন্তুষ্ট না হইয়া পরিশেষে একজন স্বর্ণকারকে ডাকাইয়া সকলের সম্মুখে গহনাগুলি ওজন ও যাচাই করিয়া লন। সেই স্বর্ণকার এখন পর্য্যন্ত বর্ত্তমান আছে। বিশেষতঃ যাহাদিগের সম্মুখে সেই সকল গহনা যাচান হইয়াছিল, তাহারাও এখন পর্য্যন্ত বর্ত্তমান। আবশ্যক হইলে তাহারা সকলেই আপনার সম্মুখে উপস্থিত হইয়া সাক্ষ্য প্রদান করিতে প্রস্তুত। মহাশয়! দুঃখের কথা বলিব কি, আমার বৈবাহিক মহাশয় আমার নিকট হইতে আরও কিছু অর্থ প্রার্থনা করেন। সেই অর্থ প্রদানে আমি অসমর্থ হওয়ায়, আমার সহিত উঁহার মনান্তর উপস্থিত হয়; এবং পরিশেষে আমি আমার মেজাজ ঠিক রাখিতে না পারিয়া, অনেকের সম্মুখে উঁহাকে গালি প্রদান করি। উহার প্রতিশোধ লইবার মানসে, আজ তিনি আপনার নিকট আমার নামে এই মিথ্যা অভিযোগ আনয়ন করিয়াছেন”
পাতা:রকম রকম - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৬
অবয়ব
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৬
দারোগার দপ্তর, ৮২ম সংখ্যা।