বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রকম রকম - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রকম রকম।
৩৭

 রামরতন বাবু মুখে যাহা কহিলেন, কার্য্যেও তাহাই করিলেন। আর কিছু অর্থ ব্যয় করিয়া একজন স্বর্ণকার ও অপর কয়েকজন ভদ্রবেশী লোক দিয়া, সেইরূপ ভাবেই সাক্ষ্য গ্রদান করাইলেন। মাজিষ্ট্রেট সাহেবও তাঁহার কথা বিশ্বাস করিয়া তাঁহাকে অব্যাহতি প্রদান করিলেন। রামরতন হাসিতে হাসিতে আপন গৃহে গমন করিলেন।

 রামরতন বাবুর বৈবাহিক মোকদ্দমা হারিয়া নিতান্ত দুঃখিত মনে আপন বাড়ীতে গমন করিলেন, এবং মনে মনে স্থির করিলেন, রামরতন বাবু যদি তাঁহাকে সেই সকল অর্থ প্রদান না করেন, তাহা হইলে তিনি তাঁহার কন্যাকে আর আনিবেন না এবং পুনরায় অন্য স্থানে আপনার পুত্ত্রের বিবাহ দিবেন।

 মনে মনে এই কথা স্থির করিয়া, একদিবস তিনি তাঁহার মনের ভাব তাঁহার স্ত্রীর নিকট কহিলেন। কিন্তু বালিকাটী অতিশয় সুরূপা ছিল বলিয়া, তাঁহার স্ত্রী তাঁহার প্রস্তাবে সম্মত হইলেন না। ক্রমে সেই কথা তাঁহার পুত্ত্রেরও কর্ণগোচর হইল পুত্ত্রটীও পুনরায় বিবাহ করিতে অসম্মত হইলেন। কাজেই তাঁহার মনের দুঃখ মনেই রাখিয়া রামরতন বাবুর কন্যাকে পুত্রবধূরূপে গ্রহণ করিতে হইল। এইরূপে কিছুদিবস অতিবাহিত হইলে পর, রামরতন বাবু আপন বৈবাহিকের সহিত কিছুদিবস পর্য্যন্ত তোষামোদ করিয়া চলিতে লাগিলেন। পরিশেষে সকল গোলযোগ মিটিরা গেল। রামরতন বাবু এইরূপে জুয়াচুরি করিয়া আপন কার্য্য উদ্ধার করিয়া লইয়াছিলেন।