যে কিছু লাগিবে না, তাহা নহে। অগ্রে কন্যা মনোনীত হউক, তাহার পর সকল বিষয় সহজেই মিটিয়া যাইবে।
আগন্তুক। আচ্ছা মহাশয়! তাহাই হইবে। আমি কল্য অতি প্রত্যূষে আপনার নিকট আগমন করিব; কিন্তু আমার ইচ্ছা, আপনি নিজে গিয়া আমার কন্যাটীকে স্বচক্ষে দর্শন করেন।
সনাতন। আচ্ছা দেখিব, পারি যদি আমি নিজেই যাইব।
আগন্তুক। মহাশয়! আমি আর একটা কথা আপনাকে জিজ্ঞাসা করিতে ইচ্ছা করি।
সনাতন। কি?
আগন্তুক। আপনার পুত্রটী এখন কোথায়?
সনাতন। বাড়ীতেই আছে।
আগন্তুক। তাহাকে একবার আমি দেখিতে পাই কি?
সনাতন। কেন পাইবেন না? আপনি যাহাকে জামাতা করিতে চাহিতেছেন, তাহাকে দেখিতে পাইবেন না, একথা কি হইতে পারে? আপনি একটু অপেক্ষা করুন, আমি তাহাকে আপনার সম্মুখে এখনই আনিতেছি।
এই বলিয়া সনাতন বাটীর ভিতর প্রবেশ করিলেন, এবং কিছু পরেই তাঁহার সেই মূর্খ ও বেশ্যাসক্ত পুত্র সতীন্দ্রনাথকে সঙ্গে করিয়া আনিয়া, তাহাকে কহিলেন, “মহাশয়! ইনিই আমার পুত্ত্র। আমি অনেক কষ্টে ইহাকে লেখা পড়া শিখাইয়াছি। ইনিই এবার দশ হাজার টাকা পারিতোষিক পাইয়াছেন।”
সনাতনের এই কথা শুনিয়া আগন্তুক একবার তাহার আপাদ-মস্তক নিরীক্ষণ করিলেন, এবং তাহাকে কহিলেন, “বাবা! তোমার নাম কি?”