বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রকম রকম - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রকম রকম।
৪৫

 সতীন্দ্রনাথ অবলীলাক্রমে কহিল, “আমার নাম শচীন্দ্রনাথ।” সে যে এই মিথ্যা কথা আপনার ইচ্ছানুযায়ী কহিল, তাহা নহে। পিতার শিক্ষামতই সে তাহার মিথ্যা নাম বলিয়া আপনার পরিচয় প্রদান করিল।

 আগন্তুক পাত্র দেখিয়া সন্তুষ্ট হইলেন ও কহিলেন, “বেশ ছেলে।” সনাতনকে কহিলেন, “আপনি বলিতেছিলেন, আপনার পুত্ত্রের বয়স কিছু অধিক হইয়াছে। কৈ, আমার বিবেচনার ইহার বয়ঃক্রম কিছুমাত্র অধিক হয় নাই; বিবাহের উপযুক্ত বয়সই এখন হইয়াছে। আমার কন্যার সহিত ইহাকে বেশ মানাইবে।” এই বলিয়া তিনি সতীন্দ্রকে কহিলেন, “যাও বাবা! তুমি এখন বাড়ীর ভিতর গমন কর।” সতীন্দ্রনাথ সেই স্থান হইতে উঠিয়া অন্য স্থানে প্রস্থান করিল।

 সতীন্দ্রনাথ দেখিতে নিতান্ত মন্দ ছিল না। তাহাকে দেখিয়া আগন্তুকের বেশ পসন্দ হইল। তাহার উপর সে যেরূপ উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত শুনিলেন, তাহাতে এরূপ পাত্রকে কে পসন্দ না করিয়া থাকিতে পারে?

 পরদিবস সনাতন কন্যার পিতার সহিত বর্দ্ধমানে গমন করিয়া কন্যাটী দেখিয়া আসিলেন। দেখিলেন, কন্যাটী অতি সুরূপা, ও বয়ঃক্রম প্রায় তের বৎসর। কন্যাটী দেখিয়া সনাতন তাহার পিতাকে কহিলেন, “আপনার কন্যাটী সুশ্রী, ইহাকে আমি আমার পুত্ত্রবধূ করিতে পারি; কিন্তু এখন দেনা-পাওনার বিষয়টা কি হইবে?”

 কন্যার পিতা। আমার অবস্থা ত আপনি স্বচক্ষে দেখিয়া গেলেন। আপনাকে এখানে আনিবার আমার প্রধান উদ্দেশ্য,