পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাগুলাল আমাদের বিশু পাগলা বলে, আস্ত হয়ে থাকাটা পাঠার নিজের পক্ষেই দরকার ; – যারা ওকে খায় ওর হাড়গোড় খুর ল্যাজ বাদ দিয়েই খায়। এমন কি, জন্তুটা যে হাড়কাঠের সামনে দাঁড়িয়ে ভ্যা করে ডাকে তাতেও আপত্তি। চন্দ্রা চল, লুকিয়ে পালিয়ে যাই। ফাগু পাহারা নেই বুঝি ? চন্দ্রা দুপুর রাতে পালাব । ফাগুলাল জালের জানলার ভিতর দিয়ে মকররাজকে দেখেচ ত ? চন্দ্রা দেখব কি ! মুখের মধ্যে এক জোড়া চষমার কাচ ছাড়া আর ত কিছুই দেখা যায় না | ফাগুলাল সেই কাঁচ যে দিনেও দেখে রাতেও দেখে । চোখ চলে না এমন দেশ আছে, ওর চষমা চলে না এমন দেশ পাব কোথায় ? দাও, মদ দাও । চন্দ্রা দিনে কাজ কর অন্ধকারে, আবার ছুটি পেলে মদ খেয়ে মাথার ভিতরটা অন্ধকার করে তোলো কেন ? ঐ যে বিশু পাগল আসচে। \9 ফাগুলাল ঘরের রাস্তা বন্ধ, জান না বুঝি ? চন্দ্রা কেন বন্ধ ? ফাগুলাল আমাদের ঘর নিয়ে ওদের কোন মুনফা নেই। চন্দ্রা তা আমরা কি ওদেরই দরকারের গায়ে আঁট করে লাগানো ? ধানের গায়ে তুষের মত ? ফালতো কিছুই নেই ? ফাগুলাল আমাদের বিশু পাগলা বলে, আস্ত হয়ে থাকাটা পাঠার নিজের পক্ষেই দরকার ;– যারা তাকে খায় তার হাড়গোড় খুর ল্যাজ বাদ দিয়েই খায়। জতুটা হাড়কাঠের সামনে ভ্যা করে ডাকলেও আপত্তি করে। ঐ যে বিশুপাগল গান গাইতে গাইতে আসচে। পূর্বানুগ। 이