পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্বালা ধরিয়েছে— বলছে ‘কাজ করো’। অন্য দিকে বনের সবুজ মেলেছে মায়া, রোদের সোনা মেলেছে মায়া, ওরা নেশা ধরিয়েছে— বলছে ছুটি ! ছুটি ! চন্দ্রা এইগুলোকে মদ বলে নাকি ? বিশু প্রাণের মদ, নেশা ফিকে, কিন্তু দিন রাত লেগে আছে। প্রমাণ দেখো । এ রাজ্যে এলুম, পাতালে সিধ কাটার কাজে লাগলুম, সহজ মদের বরাদ বন্ধ হয়ে গেল । অন্তরাত্মা তাই তো হাটের মদ নিয়ে মাতামাতি করছে। সহজ নিশ্বাসে যখন বাধা পড়ে তখনই মানুষ হাপিয়ে নিশ্বাস টানে। গান তোর প্রাণের রস তো শুকিয়ে গেল ওরে, পঙক্তি ৪১১-৪২০ S ওকে মদ বল কিসের ? এরা হল প্রাণের মদ, চারদিকে ছড়ানো মদ, ফিকে নেশা, কিন্তু সে নেশা দিনরাতই লেগে আছে। যখন থেকে পাতালে অন্ধকারে যক্ষের ভাণ্ডারে সিধ কাটতে লেগেছি তখন থেকে সেই মদের বরাদ বন্ধ হয়ে গিয়ে অন্তরাত্মা মদ চাই মদ চাই করচে । গান তোর প্রাণের রস ত শুকিয়ে গেল ওরে— SR কাজ আছে ; বনের সবুজ বলচে ছুটি, রোদের সোনা বলচে ছুটি ; ঝরণার ঝিলমিলি বলচে ছুটি-- চন্দ্রা কি বলচ তুমি ? ঐ গুলোকে মদ বলে না কি ? বিশু এইসব হল প্রাণের মদ, ওর নেশা ফিকে, কিন্তু সেটা দিনরাতই লেগে আছে । অমন চোখ পাকিয়ে রইলে কেন ? প্রমাণটা দেখ না । এ রাজ্যে যখন এলেম, পাতালে সিঁধ কাটার কাজে লাগলুম, তখন থেকে সেই আজন্মকালের মদের বরাদ্দ বন্ধ হয়ে গেল, অন্তরাত্মা তাই ত আজ এমন মদ চাই মদ চাই করচে । তোর প্রাণের রস ত শুকিয়ে গেল ওরে, >> ○ 8>Q 8ミの