পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S S 이 বিশু সেই নীল চাঁদোয়া খাটানো বড় মদের আড্ডায় | রাস্তা যে বন্ধ । তাই ত এই ঘরের তৈরি মদের উপর টান। বারো ঘণ্টায় সমস্ত হাসি গান সমস্ত সূর্য্যের আলো কড়া করে চুইয়ে নিয়েচি এক চুমুকের তরল আগুনে, সমস্ত দিনটির ছড়ানো সোহাগ কষে ছানিয়ে নিয়েচি একটি রাঙা চুম্বনরসে, এ সইতে পারা শক্ত, কিন্তু এ না হলেও ত সয় না। যক্ষপুরীতে সময় নেই, চার প্রহরকে গাঢ় করে নিতে হয় এক দণ্ডের মধ্যে । আমাদের একটি করে দিন, একটি করে সোনার তরী, প্রত্যহ অতলে তলিয়ে যায় তার সব রং সব রসের ভরা নিয়ে— এতবড় লোকসান ভোলাবার জন্যে একদণ্ড মাত্র পাই সেটাও যদি তোমার হাতে মারা যায় তবে ত নিষ্ঠুরতায় যক্ষপুরীর সর্দারদেরও WS) তবে মরণরসে নে পেয়ালা ভরে । সে যে চিতার আগুন গালিয়ে ঢালা, সব জুলনের মেটায় জ্বালা, সব শূন্যকে সে অট্টহেসে দেয় যে রঙীন করে’ ! চন্দ্রা এস না, বেয়াই, পালাই আমরা । বিশু সেই নীল চাঁদোয়া-খাটানো বড় মদের আড়ডায় । রাস্তা বন্ধ । তাই ত এই হাটের মদের উপরে টান ! বারো ঘণ্টার সমস্ত হাসি গান, সমস্ত সূর্যের আলো কড়া করে চুইয়ে নিয়েচি এক চুমুকের তরল আগুনে, সমস্ত দিনটির ছড়ানো সোহাগ কষে ছানিয়ে নিয়েচি একটি রাঙা চুম্বনরসে— এ সইতে পারা শক্ত, কিন্তু এ না হলেও ত সয় না। যক্ষপুরীতে সময় নেই, চার প্রহরকে গাঢ় করে নিতে হয় এক দণ্ডে। সেই গাঢ়তা মৃত্যুর মতই তীব্র, তা হোক, যেমন আমাদের ঠাস দাসত্ব তারই উপযুক্ত নিবিড় ছুটি। বিধাতা তোমার মধ্যে যে মদটুকু জুগিয়ে রেখেছিলেন গায়ের পক্ষে সে যথেষ্ট ছিল, যক্ষপুরীর পক্ষে না— তাই এই মদের উপর তোমার এত ঈর্ষা ! & তবে মরণরসে নে পেয়ালা ভরে’ । সে যে চিতার আগুন গালিয়ে ঢালা, সব জ্বলনের মেটায় জ্বালা, সব শূন্যকে সে অট্টহেসে দেয় যে রঙীন করে’ । চন্দ্রা এস না, বেয়াই, পালাই আমরা । বিশু সেই নীল চাঁদোয়ার নীচে, বড় মদের আড্ডায় । রাস্তা বন্ধ । তাই ত এই