পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ꮌ8> ফাগুলাল মদের পেয়ালা হাতে নিয়ে ভুলে যাই যে ভাগ্যপুরুষের দাড়ে বাধা ময়না আমি, মনে করি উড়চি বুঝি। সোনার তাল হাতে নিয়ে আমাদের মকররাজের মনেও সেই মোহ জন্মায়— ও ভাবে মস্ত কেউ । এই ভুলটাকে জমিয়ে তোলবার জন্যেই মানুষের এত মদের বায়না। চন্দ্রা তোমাদের পায়ে পড়ি ঘরে চল । অম্ৰাণ শেষ হল, ধান পেকেচে, ঘরে ঘরে নবামের ধুম পড়েচে,– সেখানে মদের দরকার হবে না। ফাগুলাল দেখ চন্দ্রা আমাকে রাগিয়ে না। হাজার বার বলেচি মকররাজের মুলুকে হাটে ঘাটে শ্মশানে মশানে সব দিকেই পাকা রাস্তা ; কেবল ঘরের দিকে नग्न ! ஆ_ চন্দ্রা একবার সর্দারকে গিয়ে যদি আমরা— vE) কাজেই তার শেষও পাওয়া যায়, নেশার দরকার নেই, কাজেই তার শেষ নেই। ঐ সোনার তালগুলো যে মদ, মকররাজের নিরেট মদ । বুঝতে পারলে না ? চন্দ্রা नां । ফাগুলাল মদের পেয়ালা হাতে ভুলে যাই ভাগ্য পুরুষের দাড়ে বাধা ময়না আমি, মনে করি আমার ছুটি। সোনার তাল হাতে মকররাজের সেই মোহ লাগে— ও ভাবে ও অসাধারণের আসমানে, সাধারণের শিকলপরা দাঁড় থেকে ওর ছুটি । চন্দ্রা অঘ্রাণ শেষ হল, গ্রামে নবারের ধুম পড়েচে পায়ে পড়ি ঘরে চল । (k কাজেই তার শেষও পাওয়া যায়। নেশার দরকার নেই কাজেই তার শেষ নেই। ঐ সোনার তালগুলো যে মদ, মকররাজের নিরেট মদ । বুঝতে পারলে না ? চন্দ্রা বিশু মদের পেয়ালা হাতে নিয়ে ভুলে যাই ভাগ্য পুরুষের দাঁড়ে বাধা ময়না আমি, মনে করি আমার ছুটি। সোনার তাল হাতে নিয়ে মকররাজের সেই মোহ লাগে। ও ভাবে অসাধারণের আসমানে ও উড়চে, সাধারণের শিকলপরা দাঁড় থেকে ওর ছুটি । না ।