পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খোদাইকরের দল পৃথিবীর বুক চিরে দরকারের বোঝা মাথায় কীটের মতো সুরঙ্গর ভিতর থেকে উপরে উঠে আসছে। এই যক্ষপুরে আমাদের যা-কিছু ধন সব ঐ ধুলোর নাড়ীর ধন— সোনা। কিন্তু সুন্দরী, তুমি যে সোনা সে তো ধুলোর নয়, সে যে আলোর। দরকারের বাঁধনে তাকে কে বাঁধবে। मझिनैो বারে বারে ঐ একই কথা বল। আমাকে দেখে তোমার এত বিস্ময় কিসের অধ্যাপক ? অধ্যাপক সকালে ফুলের বনে যে আলো আসে তাতে বিস্ময় নেই, কিন্তু পাকা দেয়ালের ফাটল দিয়ে যে আলো আসে সে আর-এক কথা । যক্ষপুরে তুমি সেই আচমকা আলো। তুমিই-বা এখানকার কথা কী পঙক্তি ৪১-৫০ Ψ) অধ্যাপক পাকা বাড়ির ছাদের ভিতর থেকে আলো দেখতে পেলে বোঝা যায় যে একটা অঘটন ঘটচে। তেমনি এখানকার রাজার পুরীতে যখন তোমাকে দেখি সেটা কেমন যেন,– এখানে তুমি যেখানে সেখানে অমন ঠেলা দিয়ে দিয়ে কি দেখচ @: অধ্যাপক সকালে ফুলের বনে যে আলো আসে তাতে কেউ বিস্মিত হয় না, কিন্তু পাকা দেয়ালের ফাটল দিয়ে যে আলো আসে সে আরেক কথা। যক্ষপুরে তুমি সেই আচমকা আলো। তুমিই বা এখানকার কথা কি ولم\ ওরা পৃথিবীর বুক চিরে গর্তের ভিতর থেকে বোঝা মাথায় কীটের মতো বেরিয়ে আসচে। এই যক্ষপুরে আমাদের যা-কিছু ধন, সব ঐ ধুলোর ধন সোনা। কিন্তু সুন্দরী, তুমি যে সোনা সে ত ধূলার নয়, সে যে আলোর। তুমি কোন সুবর্ণরেখা নদী বেয়ে গিরিশিখরের রহস্য নিয়ে এই গুহাচরদের গৰ্ত্তের ধারে এসে পৌঁচেছ। যে গ্রহ তোমাকে এনেচেন তাঁর অভিসন্ধি কি তাই ভাবি । এর শেষ কোথায় ? नन्मिनी তুমি বারে বারে ঐ একই কথা বল। আমাকে দেখে তোমার এত বিস্ময় কিসের, অধ্যাপক ? অধ্যাপক সকালে ফুলের বনে যে আলো আসে তাতে কেউ বিস্মিত হয় না, কিন্তু 8& ○と○