পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সে কথা ধরা পড়ে। তোমাদের ঐ সুড়ঙ্গের অন্ধকার-ডালাটা খুলে ফেলে তার মধ্যে আলো ঢেলে দিতে ইচ্ছে করে, তেমনি ইচ্ছে করে ঐ বিশ্রী জালটাকে ছিড়ে ফেলে মানুষটাকে উদ্ধার করি । অধ্যাপক আমাদের মরা ধনের প্রেতের যেমন ভয়ংকর শক্তি, আমাদের মানুষ-ছাঁকা রাজারও তেমনি ভয়ংকর প্রতাপ । নন্দিনী এ-সব তোমাদের বানিয়ে-তোলা কথা । অধ্যাপক বানিয়ে-তোলাই তো । উলঙ্গের কোনো পরিচয় নেই, বানিয়েতোলা কাপড়েই কেউ বা রাজা, কেউ বা ভিখিরি । এসো আমার ঘরে— তোমাকে তত্ত্বকথা বুঝিয়ে দিতে বড়ো আনন্দ হয়। পঙক্তি ৬১-৭০ \S) সে কথা কাউকে জানতেই দাও না। অধ্যাপক আমরা ত তাকে মানুষ বলিইনে। মানুষটাকে ছেকে ফেলে একেবারে খাটি অমানুষটিকে আমরা গাঢ় করে নিয়েচি। তাকেই বলি রাজা। আমাদের মরা ধনের প্রেতের যেমন প্রচণ্ড শক্তি, আমাদের মানুষ-ছাকা রাজারও তেমনি ভয়ংকর প্রতাপ । নন্দিনী এ সমস্তই তোমাদের তৈরি করা কথা । অধ্যাপক এইসব তৈরি-করা কথাই ত মানুষের ঐশ্বৰ্য্য। উলঙ্গ মানুষ সবাই এক ছাদের। তৈরি করা কাপড়ই কোনোটা রাজার পোষাক, কোনোটা ভিখারীর কাঁথা। এস তুমি আমার ঘরের মধ্যে এস, আমি তোমাকে নিয়ে একটু কথা কই। তোমাকে তত্ত্বকথা বুঝিয়ে দিতে বড় আনন্দ হয়। 6: সে কথা কাউকে জানতেই দাও না । অধ্যাপক গাঢ় হয়ে উঠেচে । তাকেই বলি রাজা। আমাদের মরা ধনের প্রেতের যেমন প্রচণ্ড শক্তি, আমাদের মানুষ-ছাকা রাজারও তেমনি ভয়ঙ্কর প্রতাপ । দেখনি রাহুতে সূর্য্যের আধখানা যখন কামড়ে নেয় তখন পশুপক্ষী ভয়েতে কি রকম চঞ্চল হয়ে ওঠে, পুরো সূৰ্য্যকে তারা ভয় করে না। >> ○○。 aの