পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

رانا حb ہند চন্দ্রা এ-সব কথা বুঝি নে বেয়াই— একটা কথা বুঝি যে, যে মেয়েকে তোমরা যত কম বোঝ সেই তোমাদের তত বেশি টানে। আমরা সাদাসিধে, আমাদের দর কম, তবু যা হোক তোমাদের সোজা পথে নিয়ে চলি। কিন্তু আজ বলে রাখলুম, ঐ মেয়েটা ওর রক্তকরবীর মালার ফাসে তোমাকে সর্বনাশের পথে টেনে আনবে। চন্দ্রা ও ফাগুলালের প্রস্থান নন্দিনীর প্রবেশ नन्नििर्नी পাগল ভাই, দুরের রাস্তা দিয়ে আজ সকালে ওরা পৌষের গান গেয়ে মাঠে যাচ্ছিল, শুনেছিলে ? বিশু আমার সকাল কি তোর সকালের মতো যে গান শুনতে পাব ? এ-যে ক্লাস্ত রাত্তিরটারই বেটিয়ে-ফেলা উচ্ছিষ্ট । নন্দিনী আজ মনের খুশিতে ভাবলুম, এখানকার প্রাকারের উপর চড়ে পঙক্তি అSS-అ\లిం > পাগলা ভাই । কি পাগলী । দুর্গের বাইরের রাস্তা দিয়ে আজ সকালে ওরা পৌষের গান গেয়ে মাঠে যাচ্ছিল তুমি শুনেছিলে ? আমার সকাল কি তোর সকালের মত, যে, গান শুনতে পাব ? এ সকাল যে ক্লান্ত রাত্তিরের বেটিয়ে ফেলা উচ্ছিষ্ট । ওরা গান গাচ্ছিল, “পৌষ তোদের ডাক দিয়েছে আয়রে চলে ।” এখান থেকে বেরবার পথ ত সব বন্ধ, মনে করলুম প্রাকারের উপর চড়ে ২ চন্দ্রা তোমার এসব কথা বুঝি নে, বেয়াই। এইটুকু বুঝি, তোমরা পুরুষমানুষ, যে-মেয়েকে যত কম বোঝো সেই তোমাদের তত বেশি টানে। আমরা সাদাসিধে, আমাদের দর কম। কিন্তু আমরা তোমাদের সোজা পথে নিয়ে যাই, বিপদের মধ্যে নিয়ে ফেলিনে ! তোমাকে এই বলে দিলেম ঐ মেয়ে তোমাকে সৰ্ব্বনাশের রাস্তায় নিয়ে যাবে। سح | سحه ৬২৫ ぐり ○○