পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিশু একজন মেয়ে । হঠাৎ তীর খেয়ে উড়ন্ত পাখি যেমন মাটিতে পড়ে যায়, সে আমাকে তেমনি করে এই ধুলোর মধ্যে এনে ফেলেছে। আমি নিজেকে ভুলেছিলুম। नन्निनी তোমাকে সে কেমন করে ছুঁতে পারলে ? বিশু তৃষ্ণার জল যখন আশার অতীত হয়, মরীচিকা তখন সহজে ভোলায়। তার পরে দিকহারা নিজেকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না। একদিন পশ্চিমের জানলা দিয়ে আমি দেখছিলুম মেঘের স্বর্ণপুরী, সে দেখছিল সর্দারের সোনার চূড়া। আমাকে কটাক্ষে বললে, ‘ঐখানে আমাকে নিয়ে যাও, দেখি কত বড়ো তোমার সামর্থ্য । আমি স্পর্ধা করে বললুম, যাব নিয়ে। আনলুম তাকে সোনার পঙক্তি ৬৯১-৭০০ S একজন মেয়ে আমাকে এইখানে ভুলিয়ে এনেছিল। সূৰ্য্যাস্তের সোনার মেঘপুরী দেখব বলে আমার ঘরে যে জানলাটা খুলেছিলুম সেইখান থেকে সে বসে বসে দেখেছিল এখানকার সর্দারদের ইমারতের সোনার চূড়াটা । ঐ ইমারতের মধ্যে আমি তার যাতায়াতের পথ করে দিই এর বেশি সে আমার কাছে আর কিছু চায় নি। আমি তার কাছে পৌরুষ দেখিয়ে বল্লুম, আচ্ছা, আমিও সর্দার হ’ব। এতদিনে আমি সর্দার হতুম– কিন্তু ভিতরকার পাগলাটা আমাকে হতে দিলে না ; সোনার २ বিশু একজন মেয়ে । সেই ত আমাকে প্রথম মদ খাইয়ে বন্দী করেছিল মায়ার কারাগারে । नन्मिनी মদ খাইয়ে ? বিশু তার চলায় মদ, বলায় মদ, কটাক্ষে মদ । নন্দিনী সে কেমন করে তোমাকে এখানে আনলে ? বিশু আমার ঘরের পশ্চিমের যে খোলা জানলাটা দিয়ে আমি সোনার মেঘপুরী দেখতুম সেইখানে বসে বসে সে দেখেছিল এখানকার সর্দার পাড়ার সোনার চূড়াটা। এই পাড়াটাতে তার যাওয়া আসার পথ করে দেব এর চেয়ে বেশি ミのa \9న్స(t ειο ο