পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

こ > ど নন্দিনী ভালো লাগল। কিরকম বলব ? ও যেন হাজার বছরের বটগাছ, আমি যেন ছোট্ট পাখি । ওর ডালের একটি ডগায় কখনো যদি একটু দোল খেয়ে যাই, নিশ্চয় ওর মজ্জার মধ্যে খুশি লাগে। ঐ একলা প্রাণকে সেই খুশিটুকু দিতে ইচ্ছে করে। বিশু তার পরে ও কী বললে ? नन्मिनॆी এক সময় বোকে উঠে ওর বর্শাফলার মতো দৃষ্টি আমার মুখের উপর রেখে হঠাৎ বলে উঠল, “আমি তোমাকে জানতে চাই।’ আমার কেমন গা শিউরে উঠল। বললুম, “জানবার কী আছে ? আমি কি তোমার পুঁথি " সে বললে, ‘পুঁথিতে যা আছে সব জানি, তোমাকে জানি নে । তার পরে কিরকম ব্যগ্র হয়ে উঠে পঙক্তি ৭২১-৭৩০ S হা, সত্যি বাসি। কি রকম বলব ? মনে কর না, ও যেন দু তিন হাজার বছরের বটগাছ, ওর মজ্জায় মজ্জায় অনেকদিনের প্রাণ অনেকদিনের শক্তি সব জমা হয়ে আছে। আমি যেন পাখী ; ওর প্রকাণ্ড একলা অন্ধকারের এক কোণে আমি যদি একটি বাসা বাধি তাহলে আমার মনে হয় যেন ওর গুড়ির ভিতর পর্যন্ত খুসি হয়ে ওঠে। সেই খুসিটুকু ওকে আমার দিতে ইচ্ছে করে । তারপরে ওকে আর তুমি দেখ নি ? দেখেচি। একদিন ওকে আমি জিজ্ঞাসা করলুম, “কেন তুমি আমাকে এখানে এনে রেখেচ ? আমাকে কেন যেতে দিচ্চ না ?” ও আমার চোখের দিকে চোখ রেখে বললে, “আমি তোমাকে জানতে চাই।” আমার কেমন গা শিউরে উঠল। আমি বললুম, “আমার মধ্যে জানবার কি আছে ? আমি কি তোমার পুঁথি।” সে আমাকে বললে, “পুঁথিতে যা আছে সব আমি জানি, তোমাকে জানিনে।” তারপরে २ नन्निनैी সত্যি বাসি। কি রকম, বলব ? মনে কর না ও যেন দুতিন হাজার বছরের বটগাছ ; আমি যেন পাখী । ওর প্রকাণ্ড অন্ধকারের এক কোণে যদি একটি বাসা বঁধি তাহলে ওর মজ্জার ভিতরে খুসি লাগে। ঐ মস্ত একলা প্রাণকে এই খুসিটুকু আমি দিতে চাই । ԳՀՓ QLෆ