পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিশু সব কথার পষ্ট মানে ও জানতে চায়। যেটা ও বুঝতে পারে না সেটাতে ওর মন ব্যাকুল করে দেয়, তাতেই ও রেগে ওঠে। নন্দিনী পাগল ভাই, ওর উপর দয়া হয় না তোমার ? বিশু যেদিন ওর পরে বিধাতার দয়া হবে সেদিন ও মরবে। নন্দিনী না না, তুমি জান না, বেঁচে থাকবার জন্যে ও কিরকম মরিয়া হয়ে আছে | বিশু ওর বাঁচা বলতে কী বোঝায়, সে তুমি আজই দেখতে পাবে— জানি নে সইতে পারবে কি না । नन्निनी ঐ দেখো পাগল ভাই, ঐ ছায়া। নিশ্চয় সর্দার আমাদের কথা লুকিয়ে শুনেছে। જહસ્ત્રિ ૧8S-૧૯૦ S বুঝতে পারচ না ? এতদিন ও কেবল জানার হিসেব নিয়ে ছিল তুমি ওকে না-জানার খবর দিয়েচ। ডাঙার মানুষকে সমুদ্রের ডাক শুনিয়েচ । তুমি গাচ্চ : তোর পাকা ফসল জমিয়ে কেন রাখিস মাঠে ? তরীতে বোঝাই দিয়ে খুসি হয়ে পার করে দে পারের ঘাটে । তোমার এই চুকিয়ে দিয়ে ফেলবার কথাটা ও কিছুতেই বুঝতে পারচে না। তাই তোমাকে ও ভয় করে । তারপরের দিন কি হয়েছিল জানিনে, ওর দরজা খোলাই ছিল, এমন কখনো হয় না। আমি হঠাৎ ঘরে ঢুকেই চমকে উঠলুম— সে কি চেহারা । মুখের চামড়া ঝুলে পড়েচে, চোখের পাতা তুলতে পারচে না। যত বড় ওর প্রকাণ্ড শক্তি দেখেটি তত বড়ই প্রকাণ্ড দুৰ্ব্বলতা ! আমি চোখ বুজে বললুম, “তোমার এ চেহারা আমি দেখতে পারিনে।” ও বললে, “খঞ্জন, এই ত আমার সত্যিকার চেহারা। একি তুমি সইতে পারবে না ?” সেই মেঘের ডাকের মত ওর আওয়াজ কোথায় গেল ? স্বর কি ক্ষীণ, কি দুৰ্ব্বল, কি করুণ ! আমার মনের মধ্যে ভারি দয়া হল, আমি গিয়ে তার গলা জড়িয়ে ধরলুম, বললুম, “তোমাকে শুশ্রুষা করব, তুমি নিশ্চয় অনেকক্ষণ খাওনি, কি খাবে বল।” ও বললে, “খাইনি, খাইনি। কাল যখন তুমি চলে গেলে, ༤ཌེ། བསམ་ > Գ8(* Գ( O