পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२> আনতে চাও ? नन्मिनी আমার রঞ্জনকে এখানে আনলে এদের মরা পাঁজরের ভিতর প্রাণ নেচে উঠবে। অধ্যাপক একা নন্দিনীকে নিয়েই যক্ষপুরীর সর্দাররা হতবুদ্ধি হয়ে গেছে, রঞ্জনকে আনলে তাদের হবে কী ! సె(t নন্দিনী ওরা জানে না ওরা কী অদ্ভুত। ওদের মাঝখানে বিধাতা যদি খুব-একটা হাসি হেসে ওঠেন তা হলেই ওদের চটকা ভেঙে যেতে পারে। রঞ্জন বিধাতার সেই হাসি । অধ্যাপক দেবতার হাসি সূর্যের আলো— তাতে বরফ গলে, কিন্তু পাথর টলে না। আমাদের সর্দারদের টলাতে গেলে গায়ের জোর চাই। ১০০ পঙক্তি ৯১-১০০ vළු নন্দিনী না, সে না হলে চলবে না। অধ্যাপক এখানে যত সব সুরঙ্গ খোদাইকর আছে তাদের মধ্যে তোমার রঞ্জন— নন্দিনী না, আমি আমার রঞ্জনকে এখানে আনব তবে ছাড়ব । অধ্যাপক আচ্ছা, তোমার যা ইচ্ছে তাই কর, একদিন আমার কথা মনে পড়বে। (প্রস্থান) (& নন্দিনী না, আমার রঞ্জনকে আমি এখানেই আনব । অধ্যাপক চেষ্টা করে দেখ, কিন্তু বলে রাখচি যক্ষপুরীর সর্দাররা ক্ষ্যাপা হয়ে উঠবে। একা নন্দিনীতে রক্ষা নেই তার উপরে আবার রঞ্জন ! যক্ষপুরী যে রসাতল, এর মধ্যে সুরলোকের হাওয়া ঢুকলে আমাদের খোদাইকরদের মন কি আর মাটির নীচে সেঁধতে চাইবে ? যাই, আমার পুঁথির আড়ালে পালাই গে— অনেকক্ষণ ছাড়া আছি, আর সাহস হচ্চে না ! (প্রস্থান)