পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S)> షా বাইরে । তারপরে ? তারপরে ওর চষমা দুটো যখন মুখের উপর ঝকঝক করে উঠবে তখন ধীরেসুস্থে কথাবার্তা কওয়ার রাস্তাই ভুলে যাব] । মুটে যেমন তার বস্তা খুলে হুড়মুড় করে বোঝা খালাস করে দিয়ে চলে যায় তেমনি করে একদমে সব কথা ঢেলে দিয়ে চলে আসতে হবে । ওর সঙ্গে ব্যবহার করে এমনি হয়েচে, বন্ধুর সঙ্গেও ছেটে কথা বলি, বাজে কথা বলবার ক্ষমতাই চলে গেচে। ওর গোয়ালঘরের গোরু বোধ হয় দুধ দিতে পারেই না একেবারেই মাখন দেয়। ঐ বাজল ঘণ্টা । ૨ পুরাণবাগীশ বল কি হে, তোমারো এমন দশা ঘটে ? অধ্যাপক জানার টানের চেয়ে প্রাণের টান বেশি হলেই পাঠশালা পালাবার ঝোক সামলানো যায় না। সন্দেহ হয় ঐ নন্দিনকে দেখেই আমাদের মনিব প্রাণতত্ত্বের ঝুঁটি ধরবার জন্যে হঠাৎ ব্যাকুল হয়ে উঠেচে । পুরাণবাগীশ তোমাদের মনিবের নাম বললে না ত । অধ্যাপক ও বলে ওর নামকরণ এখনো শেষ হয়নি। একদিন জগতের লোকের কাছে ও নাম অর্জন করে নেবে। পুরাণবাগীশ তা যেন হ’ল, বয়স ? অধ্যাপক ওর মতে, যারা মরবার জন্যে জন্মেচে তারাই জন্মতারিখ ধরে বয়স গোনে । পুরাণবাগীশ ওর গোনবার হিসেবটা কি ? অধ্যাপক ও বলে, যে মানুষ প্রথম বলেছিল পৃথিবী জয় শেষ হলে জয় করবার জন্যে নতুন পৃথিবী খুঁজতে বেরব তার সঙ্গে ওর বয়স এক । পুরাণবাগীশ লোকটা ত পুরাণ জানে দেখতে পাচ্চি। অধ্যাপক আমাকে বলে, তুমি আমার চেয়ে অনেক বুড়ো— যে নিরস্ত্র উলঙ্গ মানুষ গুহা খুঁজে প্রথম তার মধ্যে লুকিয়ে বেঁচেছিল, তুমি তারই সমবয়সী। পুরাণবাগীশ বুঝেচি, পুরাণযুগের মানুষকে ও দুই শ্রেণীতে ভাগ করে। অধ্যাপক হাঁ, এক, যারা ঘেরের মধ্যে সবার কাছ থেকে লুকিয়ে বঁচে, আর যারা