পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

このミ○ ঘের ডিঙিয়ে সবাইকে তাড়িয়ে মারে । পুরাণবাগীশ কিছু দাদা, এই শ্রেণীবিভাগ ত পুঁথির সঙ্গে ঠিক মিলল না। আমাদের পণ্ডিতরা বলেন— অধ্যাপক পুঁথি মানবার মানুষ ও নয়। পাঠশালায় পড়বার সময় নানান ফিকিরে গুরুর আসন উল্টিয়ে কাৎ করে দেওয়াই ওর প্রধান তামাসা ছিল। সে খেলা আজো ভোলে নি । পুরাণবাগীশ তোমার বর্ণনা শুনে আমার বিশেষ উৎসাহ হচ্চে না। যাহোক ঐ মানুষটিকে তোমরা ত যা হয় একটা কিছু নাম দিয়েচ। অধ্যাপক দিয়েচি। কিন্তু রোসো, দেখি কেউ শুনচে কিনা। এখানে চারদিকেই চর। ওকে আমরা বলি মকর । পুরাণবাগীশ কেন বল ত ? অধ্যাপক মকরের মতই ওর চোখের উপর পর্দা নেই, একটা চষমা আছে। চোখের চেয়ে চষমার উপরেই ওর বেশি বিশ্বাস । পুরাণবাগীশ ও কি মনে করে চোখের চেয়ে চষমা ভালো দেখে ? অধ্যাপক দাঁতের চেয়ে ঘানিতে যেমন নারকেলের তেল ভালো বেরয় । ঘানি নারকেলের স্বাদ, গন্ধ কিছুই পায় না কিন্তু তেলটা পূরোপুরি বের করে দেয়। বাদসাধ দিয়ে দেখে চোখ দুটো, চষমা ষোলো আনা দেখা আদায় করে নেয়। চোখের পক্ষপাত আছে চষমা নিবির্বকার। মকর বলে, যেখানেই দরদ আসে সেখানেই ভুল আসে। পুরাণবাগীশ জগৎটাকে ও তাহলে জ্যান্ত চোখ দিয়ে দেখে না । অধ্যাপক ته. যদি দেখত তাহলে আমাদের বাপদাদার আমলের অক্ষয় বটটাকে কেটে ফেলে সেখানে ওঁর জাতকিল বসাতে পারত না। ও চষমা দিয়ে হিসাব দেখে, চোখ দিয়ে ছবি দেখে না । পুরাণবাগীশ তাহলে ঐ যে চরের কথা বললে সেও বুঝি ওর কানের চষমা ? তার শোনাও জ্যাস্ত শোনা নয় । অধ্যাপক এখানে দেখাশোনার সমস্ত কারবারই সন্দেহের উপর । কেবল যাচাই করে