পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७२१ তাছাড়া, অধ্যাপকের সংলাপ ‘এক একদিন ওর চলার ... উড়ে পালায়।’ —এর সঙ্গে বর্তমান ষষ্ঠ খসড়ার পাঠে নিম্নোক্ত পাঠ সংযোজিত হয়েছে : ‘মনে হয় বিধাতা যা বলতে চেয়েছিলেন ওরি মধ্যে তার ভাষা আছে, পুঁথিপত্র সব ফেলে দিয়ে ইচ্ছে করে ঐ ভাষাটা বুঝে নিই।” br পুরাণবাগীশ বল কি হে তোমারো এমন দশা ঘটে ? অধ্যাপক জানার টানের চেয়ে প্রাণের টান বেশি হলেই পাঠশালা পালাবার ঝোক সামলানো যায় না। ওকে দেখে আমার মনে হয় কোনো কিছু জানার মধ্যে শেষ কথা নেই, ওর মুখখানির মধ্যে একটি শেষ কথা আছে। পুরাণবাগীশ আরে থামো, থামো ! তুমি আমার মনকে সুদ্ধ উতলা করবে দেখচি। এখন বল ত তোমাদের রাজার সঙ্গে দেখা হবে কোথায় ? অধ্যাপক দেখা বলতে যা বোঝায় তা কোথাও হবে না। ঐ জালটার পিছন থেকে তোমার সঙ্গে আলাপ চলবে। আমরা সহজভাবে দেখি শুনি, ও ঐ জালের ভিতর দিয়ে দেখাশুনো দরকারমত আদায় করে নেয়। পুরাণবাগীশ বুঝেচি, আমি-মানুষটাকে বাদ দিয়ে দেখাশোনাটা আদায় করে নেয়। তা আলাপটা হবে কি রকম ? অধ্যাপক রসিয়ে রসিয়ে নয়। ছাঁকা কথার বেশি চলবে না। ওর সঙ্গে ব্যবহার করে বাজে কথা বলবার বিধিদত্ত ক্ষমতা হারিয়ে ফেলচি। ওর গোয়ালের গোরু বোধহয় দুধ দিতে জানে না, একেবারেই মাখন দেয়। পুরাণবাগীশ বাজে জিনিষ বাদ দিয়ে আসল জিনিষ আদায় করে নেওয়াই ত পণ্ডিতের ৯ পুরাণবাগীশ বল কি হে, তোমারো পাকা হাড়ে এমন ঠোকাঠুকি বাধে না কি ? অধ্যাপক 頓 জানার টানের চেয়ে প্রাণের টান বেশি হলেই পাঠশালা পালাবার বেীক সামলানো যায় না। কোনো-কিছু জানার মধ্যেই শেষ কথা নেই, ওর মুখের মধ্যে সৃষ্টিকৰ্ত্তার শেষ কথাটি লেখা আছে। পুরাণবাগীশ আরে থামো, থামো, তুমি আমার মনকে সুদ্ধ উতলা করবে দেখচি। এখন বলত তোমাদের রাজার সঙ্গে দেখা হবে কোথায় ?