পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○○○ আস ? জাননা, আমি নবীনকে চাই। এরা যে বিদ্যার মধ্যেও জরা প্রবেশ করিয়ে দিলে । নিয়ে যাও, নিয়ে যাও একে। হৃৎকম্প ধরিয়ে দিয়েচে। এখন বেরব কোন পথ দিয়ে শীঘ্র বলে দাও । যাকে এদের দরকার নেই বেরবার পথ তাকে নিজে খুঁজতে হয় না। ঐ যে সর্দার আসচে– ঐ ব্যক্তি এখানকার আগম নিগম দুই পথই জানে। (t অধ্যাপক আসল পদার্থটা হল আঁঠি, বাজে পদার্থ হল তার চারদিকের শাঁস। বিধাতা শ্রদ্ধা করেন আঁঠিকে, ভালোবাসেন শাসকে। সংসারের বাজে বিভাগের মধ্যেই রস, শোভা, আরাম, আরোগ্য। এখানকার হিসাবীরা হাড়পাকা দরকারের লোভে যক্ষপুরীর প্রকাণ্ড আঁস্তাকুড় হয়ে উঠবে পড়ে থাকবে আবৰ্জ্জিত সংসারের খোসা, খোলা, ছোবড়া । পুরাণবাগীশ বাসরে । অধ্যাপক যারা বলে লাভ করব, তারা ধ্বংশ করে। একদিন লোভী মানুষ সমস্ত পৃথিবীটাকে উচ্ছিষ্ট করে দিয়ে নিজেরা তার মধ্যে মরে পড়ে থাকবে। পুরাণবাগীশ দাদা, ভয় হচ্চে, আমাকে এদের কোনো দরকার হবে না। অধ্যাপক তাহলে তোমার কপালে সুরঙ্গ খোদাই আছে। পুরাণবাগীশ সৰ্ব্বনাশ ! বল কি ! অধ্যাপক এখানে যক্ষপুরীর ঐ সুরঙ্গটা দিনরাত হী করে আছে। সমস্ত বিদ্যেবৃদ্ধি মনুষ্যত্বকে ক্ৰমাগতই সোনার রসাতলে টানচে। وا\ পূর্বানুগ। (i) বাজে বিভাগের মধ্যেই রস, > বাজে বিভাগেই (ii) এখানকার হিসাবীরা হাড়পাকা দরকারের > হিসাবীরা দরকারের এছাড়া, ‘পুরাণবাগীশ । দাদা, ভয় হচ্চে . রসাতলে টানচে।’ পর্যন্ত অংশ এই খসড়ায় বজিত হয়েছে। পূর্বানুগ। * (i) ‘আসল পদার্থটা হল আঁঠি, বাজে পদার্থ হল তার চারদিকের শাঁস । বিধাতা শ্রদ্ধা করেন আঁঠিকে, ভালোবাসেন শাসকে। > আসল 약