পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আহা, ওর মতো ছেলেকেও যেন আখের মতো চিবিয়ে ফেলে দিয়েছে। বড়ো লাজুক ছিল ; যে ঘাটে জল আনতে যে তুম তারই জন্যে শর ভাঙতে এসেছে। দুষ্টুমি করে ওকে কত দুঃখ দিয়েছি। ও ককু, ফিরে চা আমার দিকে — হায় রে, আমার ইশারাতে যার রক্ত নেচে উঠত সে আমার ডাকে সাড়াই দিলে না। গেল গো, আমাদের গায়ের সব আলো নিবে গেল !— · অধ্যাপক, লোহাটা ক্ষয়ে গেছে, কালো মৰ্চেটাই বাকি । এমন কেন হল । অধ্যাপক নন্দিনী, যে দিকটাতে ছাই, তোমার দৃষ্টি আজ সেই দিকটাতেই পঙক্তি ১১০১-১১১০ S আহা ওর এ কি দশা, লাজুক ছেলে ছিল, আমি যে-ঘাটে জল আনতে যেভুম সেই ঘাটে বসে থাকত, এমনি ভাব দেখাত যেন তীর তৈরি করবার জন্য শর ভাঙতে এসেচে ; আমি দুষ্টুমি করে ওকে কত দুঃখ দিয়েছি— ও কুকু, তুই যে তোর বিধবা বোনের একমাত্র আনন্দ ছিলি, ফিরে চা একবার আমার দিকে। হায়রে, আমার ডাকেও আজ সাড়া দিল না । ওর নবীন জীবনের সব রস এমন করে কে শুষে নিল রে । এই বয়সে ওর ঘাড়ে এমন একটা জরা চাপিয়ে দিল । ওর যৌবনের কি অপমান । আমাদের গায়ের যে সব আলো নিবিয়ে দিলে। অধ্যাপক, তুমি জান, ওদের এমন দশা হল কেন ? २ আহা, ওর মত ছেলেকেও এমন করে কে আখের মত যেন চিবিয়ে ফেলে দিয়েচে । বড় লাজুক ছিল। যে ঘাটে জল আনতে যেতুম সেই ঘাটের কাছে ঢালু পাড়ের উপর বসে থাকত, ভাব দেখাত যেন তীর তৈরি করবার জন্যে শর ভাঙতে এসেচে। দুষ্টুমি করে ওকে কত দুঃখ দিয়েটি ! ও কঙ্কু, ফিরে চা আমার দিকে। হায়রে, আমার ইসারাতে যার রক্ত নেচে উঠত সে আজ আমার ডাকে সাড়া দিল না ! গেল গো, আমাদের গায়ের সব আলো নিবে গেল – অধ্যাপক এদের দেখে মনে হয় যে, লোহা সব ক্ষয়ে গেছে কেবল কালো মরচে বাকি। এমন হল কেন ? z- অধ্যাপক [খঙ্গনী নন্দিনী, যে দিকটাতে ছাই, তোমার দৃষ্টি আজ সেই দিকেই WO আহা, ওর মত ছেলেকেও আখের মত যেন চিবিয়ে ফেলে দিয়েচে । বড় লাজুক ←a8Ꮈ >>○○。 Σ Σ Σ Ο