পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হয়তো তোমার ভাগ্যপুরুষ জানে। ঐ রক্ত- আভায় একটা ভয়-লাগানো রহস্য আছে, শুধু মাধুৰ্য নয়।অধ্যাপক। আমার মধ্যে ভয়?নন্দিনী। সুন্দরের হাতে রক্তের তুলি দিয়েছে বিধাতা। জানি নে, রাঙা রঙে তুমি কী লিখন লিখতে এসেছ। মালতী ছিল, অধ্যাপক।

মল্লিকা ছিল, ছিল চামেলি; সব বাদ দিয়ে এ ফুল কেন বেছে নিলে। জান, মানুষ না জেনে অমনি করে নিজের ভাগ্য বেছে নেয়? রঞ্জন আমাকে কখনো-কখনো আদর ক'রে বলে রক্তকরবী। জানি নে আমার কেমন মনে হয়, আমার রঞ্জনেরনন্দিনী।

ভালোবাসার রঙ রাঙা, সেই রঙ গলায় পরেছি, বুকে পরেছি, হাতে পরেছি।

তা আমাকে ওর একটি ফুল দাও, শুধু ক্ষণকালের দান, ওর রঙের তত্ত্বটি বোঝবার চেষ্টা করি।অধ্যাপক। এই নাও। আজ রঞ্জন আসবে, সেই আনন্দে এই ফুলটি তোমাকে দিলুম।

নন্দিনী।

অগাঢ় লেখাধ্যাপক কতবার ভেবেছি, তুমি যে রক্তকরবীর আভরণ পরো তার একটা-কিছু মানে আছে। নন্দিনী আমি তো জানি নে কী মানে । অধ্যাপক হয়তো তোমার ভাগ্যপুরুষ জানে। ঐ রক্ত-আভায় একটা ভয়-লাগানো রহস্য আছে, শুধু মাধুর্য নয়। > ○○。 নন্দিনী আমার মধ্যে ভয় । অধ্যাপক সুন্দরের হাতে রক্তের তুলি দিয়েছে বিধাতা। জানি নে, রাঙা রঙে তুমি কী লিখন লিখতে এসেছ। মালতী ছিল, মল্লিকা ছিল, ছিল চামেলি ; সব বাদ দিয়ে এ ফুল কেন বেছে নিলে ?— জান ? মানুষ না জেনে অমনি করে নিজের ভাগ্য বেছে নেয়। >8○ পঙক্তি ১৩১-১৪০ 이 অধ্যাপক আমি কতবার ভেবেছি তুমি যে রক্তকরবীর আভরণ পর তার একটা কিছু মানে আছে। নন্দিনী আমি ত জানিনে কি মানে । অধ্যাপক হয়ত তোমার ভাগ্যপুরুষ জানে। ঐ রক্তের রঙের মধ্যে একটা ভয়লাগানো রহস্য আছে, শুধু মাধুৰ্য্য নয়। নন্দিনী আমার মধ্যেও ভয় ? অধ্যাপক তুমি শ্বেত করবীর মত সহজ নও। সুন্দরের হাতে রঙের তুলি দিয়েচে বিধাতা,— কি জানি রাঙা রঙে তুমি কি লিখন লিখতে এসেচ । এতফুল থাকতে এ ফুল তুমি কেন বেছে নিয়েচ ? জান, মানুষ না জেনে এমনি করে নিজের ভাগ্য বেছে নেয় । Եঅনেকাংশে পূর্বানগ। পরিবর্তনগুলি উল্লেখ করা গেল : (i) ঐ রক্তের রঙের মধ্যে > ঐ রক্ত আভার মধ্যে