পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

WS)8 অধ্যাপক তা আমাকে ওর একটি ফুল দাও, শুধু ক্ষণকালের দান, আমি ওর রঙের তত্ত্বটি বোঝাবার [বোঝবার চেষ্টা করি। मलिनैो এই নাও। আজ রঞ্জন আসবে সেই আনন্দে এই ফুলটি তোমাকে দিলুম। (অধ্যাপকের প্রস্থান। জালের দরজায় ঘা দিয়া) >○ নন্দিনী রঞ্জন আমাকে কখনো কখনো আদর করে বলে রক্তকরবী । জানিনে আমার কেমন মনে হয় আমার রঞ্জনের ভালোবাসার রঙ রাঙা । সেই রং গলায় পরেচি, বুকে পরেচি, হাতে পরেচি। অধ্যাপক * তা আমাকে ওর একটি ফুল দাও, শুধু ক্ষণকালের দান, আমি ওর রঙের তত্ত্বটি বোঝবার চেষ্টা করি । so নন্দিনী এই নাও। আজ রঞ্জন আসবে সেই আনন্দে এই ফুলটি তোমাকে দিলুম। (অধ্যাপকের প্রস্থান) বর্তমান খসড়ায় এর পরেই ডান দিকের ফাঁকা অংশে “সুরঙ্গ-খোদাইকর গোকুলের প্রবেশ’ শীর্ষক গোকুল-নন্দিনীর সংলাপ সংযোজিত হয়েছিল। তার শেষে ছিল গোকুলের কথা : “অর্থাৎ আজ তোমার মনে কি একটা ফন্দী আছে। একটা বিপদ কিছু ঘটাবে। নিৰ্ব্বোধরা ঠাউরে রেখেচে তুমি সুন্দরী, জানে না কি ভয়ঙ্করী তুমি! যাই ওদের সাবধান করিগে। (প্রস্থান)”, পরে এই অংশ বর্জিত হয়েছে এবং মুদ্রিত আকারে এরই রূপান্তরিত পাঠ দেখা যাচ্ছে ।