পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সর্দার কেনারাম গোসাই কি জানে রঞ্জনের কথা ? মেজো সর্দার আন্দাজে সবই জানে, পষ্ট জানতে চায় না। সর্দার কেন ? মেজো সর্দার পাছে ‘জানি নে এই কথা বলবার পথ বন্ধ হয়ে যায় । সর্দার হলই বা ? মেজো সর্দার বুঝছ না ? আমাদের তো শুধু একটা চেহারা, সর্দারের চেহারা। কিন্তু ওর যে এক পিঠে গোঁসাই, আর-এক পিঠে সর্দার। নামাবলিটা একটু ফেসে গেলেই সেটা ফাঁস হয়ে পড়ে। তাই সর্দারি ধর্মটা নিজের অগোচরে পালন করতে হয়, তা হলে নামজপের বেলায় খুব বেশি বাধে না । পঙক্তি ১৪৪১-১৪৫০ S মেজ সর্দার, তোমার ঘোড়াটা কিন্তু আমি নিচ্চি। কেন, কি হবে ? ঐ ত বললুম, আমি একটু এগিয়ে গিয়ে ওদের সঙ্গে মিলব। তোমার ত বিশেষ কোনো— না, তোমার মত অত বড় তাগিদ আমার নেই। তা তুমি নিয়ে যাও । আমি তোমাদের সব দল নিয়ে বাগানে চললুম— নৌকা করে যাওয়া যাবে। ঐ যে আমাদের মেয়েরা চলেচে ময়ূরপংখিতে— সঙ্গে নহবতের দল খুব জমিয়ে তুলেচে । কিন্তু আমাদের ভোজের মধ্যে ঐ গোসাইকে যেন— না, না, জয় পতাকা পুজোর ভার তার উপরে দিয়েচি– মন্ত্রপড়া শেষ করতে অনেক সময় লাগবে। আর বলে দিয়েচি একে একে আমাদের কারিগরের দলকে দিয়ে যেন পতাকা প্রদক্ষিণ করানো হয়, একপ্রহর রাত ত তাতেই কেটে যাবে। গোসাই জানে ত রঞ্জনের কথা ? আন্দাজে সে সবই জানে কিন্তু স্পষ্ট করে জানতে চায় না। কেন ? পাছে জানিনে এই কথা বলবার পথ ওর একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। হলই বা । 8&> S886: >8○と○