পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সর্দার তা হবে, মনের কথা মন নিজেও জানে না। তুমি চলে এসো আমার সঙ্গে । উভয়ের প্রস্থান নন্দিনীর প্রবেশ নন্দিনী দেখতে দেখতে সিঁদুরে মেঘে আজকের গোধূলি রাঙা হয়ে উঠল। ঐ কি আমাদের মিলনের রঙ ! আমার সিথের সিঁদুর যেন সমস্ত আকাশে ছড়িয়ে গেছে। জানলায় ঘা দিয়ে শোনো, শোনো, শোনো ! দিন রাত এখানে পড়ে থাকব, যতক্ষণ না শোনো । Ꮌ8Ꮔ☾ গোসাইয়ের প্রবেশ গোঁসাই ঠেলছ কাকে ? নন্দিনী তোমাদের যে অজগর আড়ালে থেকে মানুষ গেলে তাকে । গোঁসাই হরি হরি, ভগবান যখন ছোটোকে মারেন তখন তার ছোটো ১৪৮০ পঙক্তি ১৪৭১-১৪৮০ . > শোনো, শোনো ! শুনতে পাচ্চ ? এখনো তোমার কান খুলল না, কান্নায় যে আকাশ ভরে গেছে। শুনতেই হবে তোমাকে,– শুনতেই হবে। এখানে আমি দিনরাত বসে থাকব যতক্ষণ না তুমি শোন। তোমার এই জাল আমি ছিড়ব তবে আমি উঠব। বৎসে, এখানে তুমি কি করচ ? গোসাই, বিশু পাগলকে কেন তোমরা বেঁধে নিয়ে গেলে ? আমি ঠিক জানিনে, কিন্তু আমার নিশ্চিত বিশ্বাস, যে, ওকে না বাঁধলে এখানকার ব্যবস্থাবন্ধন আলগা হয়ে যেত জেনেই ওকে বাধা হয়েচে । তোমাদের যে ব্যবস্থাবন্ধনের গিঠে গিঠে এত লোকের গলায় ফাস লেগেচে তাকে কি চিরকালই রক্ষা করতে হবে ? তুমি ত গোসাই মানুষ ভক্ত লোক, আমাকে সত্যি করে বল, তোমাদের তৈরি ঐ ফাসে তোমাদের ভগবানকে কি পীড়া দেয় না ? ভগবানের যে বিধানে বিশ্বজগতের স্থিতি আমাদের এই বিধান তারই