পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ 2 ゲ (খ) শেষ অংশ : ফাগুলাল জিৎতে পারবে ? রাজা না পারি ত মরতে পারব। এত দিনে মরবার অর্থ দেখতে পেয়েচি । বেঁচেচি। নন্দিন, শুনতে পাচ্চ ঐ যে তোমার ফসল কাটার দল গান গেয়ে চলেচে । বহুরূপীতে মুদ্রিত নন্দিনী' শীৰ্ষক খসড়াটি যে রবীন্দ্রভবনে সংরক্ষিত পঞ্চম খসড়ার পূর্ববর্তী খসড়া, তার প্রমাণ, উক্ত নন্দিনীর শুরু হয়েছে তৃতীয় খসড়ার অনুসরণে ১ চিহ্নিত করে, আগের খসড়ার মতো দৃশ্যবিভাগের পরিকল্পনা নিয়ে, যা পঞ্চম খসড়ায় বর্জিত । 单 (পাঁচ) ষষ্ঠ খসড়া। পাণ্ডুলিপি সংখ্যা 149 (ii), পৃষ্ঠাসংখ্যা 155। কালো রেক্সিনে বোর্ডে বাঁধানো মলাট, সাধারণ মাপের একসারসাইজ খাতা, পৃষ্ঠাগুলি সাদা । যথারীতি, ওপর থেকে নীচে পৃষ্ঠাগুলি লম্বালম্বিভাবে দুভাগে ভাজ করে তার বা দিকে মূল রচনা এবং ডানদিকের অংশটি সংযোজন ও সংশোধনের জন্য রক্ষিত হয়েছে। পৃষ্ঠাঙ্ক ইংরেজিতে, পেনসিলে লেখা। খসড়াটির কোথাও রচনাকাল ও রচনাস্থানের উল্লেখ নেই । খসড়াটির প্রথম পৃষ্ঠায় লেখা আছে, Copy by Sudhenduranjan Ray (end of 1923 or beginning of 1924– Gurudev was then staying with Sri Prasanta Mahalanabis at his Alipore Residence.) যদিচ এই খসড়াটি অনুলিপি, কিন্তু সংযোজন ও সংশোধনগুলি কবি-কৃত এবং ৬৭টি সংযোজন, বর্জন ও সংশোধনের চিহ্ন এখানে আছে। এই খসড়াটির সম্ভাব্য রচনাকালের (১৯২৩-এর শেষ অথবা ১৯২৪-এর গোড়ায়) উল্লেখ দেখতে পাচ্ছি। আরও জানা যাচ্ছে যে এই সময় কবি প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ পরিবারের সঙ্গে কলকাতায় আলিপুরে বাস করছিলেন। খসড়াটির শুরু এবং শেষ অংশ এইরকম : (ক) শুরু : অধ্যাপক নন্দিনী ! নন্দিনী কি অধ্যাপক ! অধ্যাপক ঐ চেয়ে দেখ! ওরা পৃথিবীর বুক চিরে গৰ্ত্তর ভিতর থেকে বোঝা মাথায় কীটের মত বেরিয়ে আসচে। এই যক্ষপুরে আমাদের যা-কিছু