পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(2Q> ধন, সব ঐ ধূলোর ধন সোনা। কিন্তু সুন্দরী, তুমি যে সোনা সে ত ধূলোর নয়, সে যে আলোর । তুমি কোন সুবর্ণরেখা নদী পার হয়ে গিরিশিখরের রহস্য নিয়ে এই গুহাচরদের গৰ্ত্তের ধারে এসে পোঁচেছ। যে গ্রহ তোমাকে এনেচেন তার অভিসন্ধি কি তাই ভাবি । এর শেষ কোথায় ? নন্দিনী তুমি বারে বারে ঐ একই কথা বল। আমাকে দেখে তোমার এত বিস্ময় কিসের, অধ্যাপক ? অধ্যাপক সকালে ফুলের বনে যে আলো আসে তাতে কেউ বিস্মিত হয় না, কিন্তু পাকা দেয়ালের ফাটল দিয়ে যে আলো আসে সে আরেক কথা । যক্ষপুরে তুমি সেই আচমকা আলো। তুমিই বা এখানকার কথা কি ভাবচ বল দেখি ? (খ) শেষ অংশ : ফাগুলাল জিৎতে পারবে ? রাজা না পারি ত মরতে পারব। এতদিনে মরবার অর্থ দেখতে পেয়েচি। বেঁচেচি। নন্দিন, শুনতে পাচ্চ, ঐ যে তোমার ফসল কাটার দল গান গেয়ে চলেচে ! سہم O مہم (ছয়) সপ্তম খসড়া। পাণ্ডুলিপি সংখ্যা 151 (vii), পৃষ্ঠা সংখ্যা 103 | কালো রঙের রেক্সিনে বাধানো রুলটানা সাধারণ আকারের একসারসাইজ খাতায় খসড়াটি লিপিবদ্ধ। সম্ভবত অমিয় চক্রবর্তী এই খসড়াটির অনুলিপি করে থাকবেন । কিন্তু সংশোধন ও সংযোজনগুলি কবি-কৃত, স্বভাবতই, কখনো কালো কালিতে, কখনো লাল কালিতে । এই খসড়ায় কোথাও নাটকটির নাম উল্লিখিত নেই। রচনাকাল ও রচনাস্থান সম্পর্কেও একই কথা । খসড়াটির শুরু ও শেষ হয়েছে এইভাবে : (ক) শুরু : অধ্যাপক নন্দিনী ! নন্দিনী কি অধ্যাপক ! অধ্যাপক তুমি আমন চমক লাগিয়ে চলে যাও কেন ? যখন মনটাকে নাড়া