পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ፅ O কিন্তু যখন তার বুক চিরে মরা হাড়গুলোকে ঐশ্বর্য বলে ছিনিয়ে > নিয়ে আস তখন অন্ধকার থেকে একটা কানা রাক্ষসের অভিসম্পাত নিয়ে আস। দেখছ না ?— এখানে সবাই যেন কেমন রেগে আছে, কিংবা সন্দেহ করছে, কিংবা ভয় পাচ্ছে। নেপথ্যে অভিসম্পাত ? ՀՖ(t नन्निन्दी o হাঁ, খুনোখুনি-কাড়াকড়ির অভিসম্পাত। নেপথ্যে শাপের কথা জানি নে। এ জানি যে, আমরা শক্তি নিয়ে আসি। আমার শক্তিতে তুমি খুশি হও নন্দিনী ? নন্দিনী ভারি খুশি লাগে। তাই তো বলছি, আলোতে বেরিয়ে এসো, মাটির উপর পা দাও, পৃথিবী খুশি হয়ে উঠুক। ९९० পঙক্তি ২১১-২২০ ९ নেপথ্যে আমার শক্তিতে তুমি খুসি হও, [খঞ্জনী বর্জন করে] নন্দিন ? নন্দিনী ভারি খুসি লাগে। তোমার এই শক্তি যদি আজ পৌষের রোদুরে ক্ষেতে চাষীদের মাঝখানে এসে প্রকাশ পায় তাহলে সমস্ত পৃথিবী খুসি হয়ে ওঠে, তাই তোমাকে ডাকতে এসেচি। WS) তোমার বজ্রকঠিন হাতে যদি ধান কাটতে আস কেউ তোমার মত পারবে नां । নেপথ্যে বল কি ? তোমার ভালোবাসার রঞ্জনও পারবে না ? নন্দিনী না, না, অদ্ভুত তোমার শক্তি। বেশ দেখতে পাচ্চি তোমার কাস্তের তালে তালে কাটা ধান লুটিয়ে লুটিয়ে পড়চে, নাচের মত ! তুমি এই যক্ষপুরীর রাজা, তোমার শক্তি যে কত সুন্দর হতে পারে তা কেউ দেখতেই পায় না। একদিন দেখেছিলুম বড় বড় সোনার তাল অনায়াসে তুলে তুলে তুমি সাজাচ্ছিলে ; কিন্তু সোনার পিণ্ড কি তোমার হাতের আশ্চৰ্য্য ছন্দে সাড়া দেয়, যেমন সাড়া দিতে পারে পাকা ধানের ক্ষেত ? নেপথ্যে আমার শক্তিতে তুমি খুসি হও, নন্দিন ?