পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Qbra নন্দিনী সব রকম কাজেই তোমার চেহারা মনে আনতে পারি। আমার ত বাধে না । আমি জানি যে, তোমার বজ্রকঠিন হাত নিয়ে যদি ধান কাটতে আস তোমার মতো কেউ পারবে না । (৫) খঞ্জনী বর্জন করে] নন্দিনী আমার ভয় ঘুচে গেচে, আমন করে আমাকে তাড়াতে পারবে না। মরি সেও ভালো, দরজা না খুলিয়ে নড়ব না। নেপথ্যে রঞ্জনকে চাও বুঝি ? সর্দারকে বলে দিয়েচি, তাকে এনে দেবে, হবে তার সঙ্গে তোমার মিলন। এখন যাও ওখান থেকে সরে। পূজায় যাবার সময় দরজার কাছে দাড়িয়ে থেকো না ! (দ্বিতীয় খসড়া থেকে) (দ্বিতীয় খসড়া থেকে) পরবর্তী খসড়াগুলিতে খঞ্জনী-নন্দিনীর এই দ্বিধা আর নেই। এ কথা উল্লেখ করা অসংগত হবে না যে চতুর্থ ও পঞ্চম খসড়ার নাম কবি নিজেই পাণ্ডুলিপির মলাটে ‘নন্দিনী’ বলে চিহ্নিত করেছেন । ৭ ‘রক্তকরবী'র অভিনয়-প্রসঙ্গ শান্তিনিকেতন-পর্বে রবীন্দ্রনাথ যে সব নাটক রচনা করেছেন, সবগুলিই রচিত হয়েছে বিশেষ বিশেষ উপলক্ষে, এমনকি যারা অভিনয় করবেন কখনো কখনো তাদের কথা মনে রেখে । বস্তুত এই পর্বের অধিকাংশ নাটকই শান্তিনিকেতনে অভিনীত হতে পারে নি। অথচ, প্রথমাবধি এই নাটকটিকে মঞ্চস্থ করবার জন্য কবির কী গভীর আগ্রহই না ছিল। লেভী রাণু মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতিচারণ সূত্রে আগেই বলেছি যে রবীন্দ্রনাথ তাঁকে নন্দিনীর ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য বলেছিলেন। তাতে মনে হয়, আৰু সামনে রেখে নদিনীর সৃষ্টি সেই শ্ৰীমতী রাণুর অভিনয়ের ভিতর দিয়ে তার মানবীর ছবি নন্দিনীকে প্রত্যক্ষ করতে কবি ব্যগ্র ছিলেন। কিন্তু কবির এই প্রত্যাশা বাস্তবায়িত হয় নি। শ্রীমতী রাণুকে দিয়ে যখন অভিনয় করা গেল না নন্দিনীর ভূমিকা, তখন রবীন্দ্রনাথ হতাশ হয়েছিলেন সন্দেহ নেই, কিন্তু নাটকটির অভিনয়ের সম্ভাবনা মন থেকে একেবারে মুছে ফেলেন নি। তার প্রমাণ পাই ১৯ ভাদ্র ১৩৩০ তারিখে রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়কে লেখা চিঠিতে, যাতে তিনি মন্তব্য করেছেন যে অভিনয়ের পূর্বে তিনি নাটকটিকে ছাপতে দিতে চান না। এ বিষয়ে আমাকে লেখা অমিতা ঠাকুরের পূর্বোক্ত চিঠির (২০ জুন ১৯৭৮) প্রাসঙ্গিক অংশ মূল্যবান তথ্য হিসেবে গণ্য করা যায় : “সাধারণত উনি কোনো নাটক রচনার পর তা অভিনয় করবার জন্য