পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

اگ را একটি ছোট্ট ঘাসের দিকে হাত বাড়িয়ে বলছি— আমি তপ্ত, আমি রিক্ত, আমি ক্লাস্ত। তৃষ্ণার দাহে এই মরুটা কত উর্বরা ভূমিকে লেহন করে নিয়েছে, তাতে মরুর পরিসরই বাড়ছে, ঐ একটুখানি দুর্বল ঘাসের মধ্যে যে প্রাণ আছে তাকে আপন করতে পারছে না । নন্দিনী তুমি যে এত ক্লাস্ত তোমাকে দেখে তো তা মনেই হয় না। আমি ২৭৫ তো তোমার মস্ত জোরটাই দেখতে পাচ্ছি। নেপথ্যে নন্দিন, একদিন দূরদেশে আমারই মতো একটা ক্লান্ত পাহাড় দেখেছিলুম। বাইরে থেকে বুঝতেই পারি নি তার সমস্ত পাথর ভিতরে ভিতরে ব্যথিয়ে উঠেছে। এক দিন গভীর রাতে ভীষণ শব্দ শুনলুম, যেন কোন দৈত্যের দুঃস্বপ্ন গুমরে গুমরে হঠাৎ ভেঙে গেল । ২৮০ পঙক্তি ২৭১-২৮০ \G) আমি ক্লাস্ত । ক্ষুধার দাহে এই মরুটা কত উৰ্ব্বরা ভূমি গ্রাস করে চলেচে, তাতে মরুর পরিসরই কেবল বাড়চে, ঐ একটুখানি দুৰ্ব্বল ঘাসের মধ্যে যে প্রাণ আছে তাকে আপন করতে পারচে না । নন্দিনী তুমি যে এত ক্লান্ত, তোমাকে দেখে ত তা মনেই হয় না ! আমি ত তোমার ঐ মস্ত জোরটাই দেখতে পাচ্চি । নেপথ্যে নন্দিন, একদিন দূরদেশে আমার মত একটি ক্লাস্ত পাহাড়কে দেখেছিলুম। বাইরে থেকে বুঝতেই পারিনি যে, তার সমস্ত পাথর ভিতরে ভিতরে ব্যথিয়ে উঠেচে । একদিন গভীর রাতে একটা ভীষণ শব্দ শুনলুম, যেন কোন দৈত্যের দুঃস্বপ্ন গুমরে গুমরে হঠাৎ ভেঙে গেল । (? আমি ক্লান্ত । ক্ষুধার দাহে এই মরুটা কত উৰ্ব্বরা ভূমি গ্রাস করে চলেচে, তাতে মরুর পরিসরই বাড়চে, ঐ একটুখানি দুৰ্ব্বল ঘাসের মধ্যে যে প্রাণ আছে তাকে আপন করতে পারচে না । নন্দিনী তুমি যে এত ক্লান্ত তোমাকে দেখে ত তা মনেই হয় না। আমি ত তোমার মস্ত জোরটাই দেখতে পাচ্চি ।