পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

%.” ش\ নিম্নলিখিত পরিবর্তন ছাড়া বর্তমান খসড়ার পাঠ পূর্বানুগ। পরিবর্তনটি এইরকম : (i) কতটুকু ; > কতটুকু, (ii) ‘বিশ্বের বড় মালখানা . করতে বসেচি, অংশটি বজিত হয়েছে, তার বদলে পেন্সিলে লেখা নীচের অংশটি প্রস্তাবিত সংযোজনের পরিচয় দিচ্ছে : নন্দিনী তুমি ইচ্ছে করলে বাইরে বেরিয়ে এসে সবি পেতে পার। তবে কেন যে তুমি আপনাকে ঢাকা দিয়ে রেখে বঞ্চিত করছ কে জানে নেপথ্যে এইখানে থেকে বিশ্বের বড় বড় সব মালখানা লুঠ করতে লেগেছি। 이 হয়েচ, এমন সুন্দর। আমার তুলনায় তুমি কতটুকু, তবু তোমাকেও আমি ঈর্ষা করি । নন্দিনী তুমি ইচ্ছে করলে বাইরে বেরিয়ে এসে সবই পেতে পারো, তবে কেন যে তুমি আপনাকে ঢাকা দিয়ে রেখে বঞ্চিত করচ কে জানে ? নেপথ্যে এইখানে থেকে বিশ্বের বড় বড় সব মালখানা লুঠ করতে লেগেচি। কিন্তু বিধাতার ডান হাতের মুঠির মধ্যে যে দান রয়েচে সেখানে তোমার চাপার কুঁড়ির মত একটি আঙুল যতটুকু পৌঁছয় আমার সমস্ত দেহের জোর তার কাছ দিয়ে যায় না। যে করে হোক সেই বদ্ধ মুঠো আমাকে খুলতেই হবে, মোটা সামগ্রীতে আমার অরুচি হয়েচে । নন্দিনী এমন করে যখন কথা কও তখন ভয় করে । তোমার দুর্গ থেকে আমাকে যেতে দাও । br হয়েচ, এমন সুন্দর। আমার তুলনায় তুমি কতটুকু, তবু তোমাকে ঈর্ষা করি । নন্দিনী তুমি নিজেকে সবার থেকে হরণ করে রেখে বঞ্চিত করেচ। সহজ হয়ে বেরিয়ে এস না । নেপথ্যে এইখানে গুপ্ত থেকে বিশ্বের বড় বড় মালখানার মোটা মোটা জিনিষ লুঠ করতে লেগেচি, কিন্তু বিধাতার ডান হাতের মুঠির মধ্যে যে দান ঢাকা রয়েচে সেখানে তোমার চাঁপার কলির মত আঙুলটি যতটুকু পৌঁছোয় আমার সমস্ত দেহের জোর তার কাছ দিয়ে যায় না। সেই বদ্ধ মুঠো আমাকে খুলতেই হবে। নন্দিনী তুমি আমার রঞ্জনকে এখানে আনতে দিচ্চ না কেন ?