পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নন্দিনী কে বললে তুমি অসুন্দর । তুমি যে সুন্দর এখানে থেকে সে কথা ভুলে গেছ । রঞ্জন মনে করিয়ে দেবে। নেপথ্যে দেখ, আমাকে অমন কথা দিয়ে ভুলিয়ো না। সুন্দরকে ঈর্ষা করিনে, আমি প্রবল– কত সুন্দরকে ছারখার করে দিয়েচি। কোন সাহসে রঞ্জনকে আমার কাছে পাঠাতে চাও ? নন্দিনী তোমাকে ভয় করিনে বলে রাগ কর কেন ? নেপথ্যে সুন্দরের পাওনা যদি ভালবাসা হয়, প্রবলের পাওনা ভয় । দুই দেবতার দুই রকমের নৈবেদ্য। কিন্তু আর নয়— চলে যাও, নইলে বিপদ ঘটতে পারে। (উভয়ের প্রস্থান) ফাগুলাল (সুরঙ্গ-খোদাইকর) আমার মদ কোথায় লুকিয়েচ চন্দ্ৰা ! বের কর । চন্দ্রা ও কি কথা ? সকাল থেকেই মদ ? ফাগুলাল আজ ছুটির দিন । কাল ওদের মারণচণ্ডীর ব্রত গেছে। আজ 이l পূর্বানুগ (i) আমাকে আমন কথা দিয়ে > আমাকে কথা দিয়ে আমন (ii) আমি প্রবল– কত সুন্দরকে > কত সুন্দরকে Ե নন্দিনী আমি বলচি তুমি রঞ্জনকে আনিয়ে নাও। ছুটি কি করে মধুতে ভরে, তার জবাব তাকে চোখে দেখলেই পাবে ; সে বড় সুন্দর। নেপথ্যে সুন্দরের জবাব সুন্দরই পায় । অসুন্দর যখন জবাব ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে তখন বীণার তার বাজে না, ছিড়ে যায়। নন্দিনী তুমি যে সুন্দর এখানে থেকে থেকে সে কথা ভুলে গেচ ৷ রঞ্জন মনে করিয়ে দেবে। নেপথ্যে আমাকে কথা দিয়ে ভুলিয়ো না। সুন্দরকে ঈর্ষা করিনে, কত সুন্দরকে ছারখার করেচি। কোন সাহসে রঞ্জনকে আমার কাছে পাঠাতে চাও । नन्द्रिनैी তোমাকে রাগ করিনে বলে রাগ কর কেন ?