পাতা:রঙ্গলাল-গ্রন্থাবলী.djvu/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাঞ্চীকাৰেরী షాఠీ উৎকলের সৈন্য বর্ণে আবৃত শরীর। তোরণের নীচে কাটে সুড়ঙ্গ গভীর। ভরিল বারুদ তাহে আকারেতে গোলা । “জয় জগনুtথ জয়” নাদে সবে ভোলা । তবে কৃষ্ণ রাউতের আদেশ প্রমাণ । সেই সুড়ঙ্গেতে অগ্নি করিল পদান। হইল বিষম শবদ সেই সিংহদ্বারে । লক্ষ লক্ষ বজ্ৰ পড়িল কি একবারে। ভাঙ্গিল লৌহের দ্বার হয়ে চুরমার । উৎকলের সেনা ঢুকে করে মার মার। আগে আগে বীর কৃষ্ণ কৃষ্ণ-আশোপরে। মূৰ্ত্তিমান মহাকাল কর্ণাট সহরে । পলায় কাঞ্চীর লোক পুর পরিহরি। কি করিবে, কোথা যাবে, চারিদিকে অরি। আবাল-বনিতা-বৃদ্ধ বিশেষে কাতর। জয়নাদ সহিত মিশিত আৰ্ত্তস্বর। বিমূচিছত নারীগণ মহা ভয়ক্রমে। নগর অচিছন যেন ভেলুকীর ভ্ৰমে । জয়ী সৈন্য খুলে দিল আর তিন দ্বার। পবেশে উৎকল-বল সংখ্যা নাহি তাঁর । মহানন্দে গজপতি ব্যস্ত-ত্রস্ত হয়ে । অনুেষিয়া ভ্ৰমিছেন রাজপুতদ্বয়ে । কিন্তু দুই ভাই অন্তহিত সেইক্ষণ । পাতি পাতি করি খুঁজে না পান দর্শন। হরিষ-বিষাদে রাজা শিবিরেতে যান । সামন্ত-সিঙ্গার রহে দুর্গ-সনিধান। প্রহরেক লুঠ তরে দিল অনুমতি । দরিদ্রের প্রতি দৃষ্টি রাখি মহামতি । কি আর বণিব তবে যে দশা হইল । गशांशृला झदा जब जूठिंग्ना जईज । বলাৎকারে লয়ে যায় তরুণীনিকরে । মুক্তাকার অশ্রুধারা দুনয়নে ঝরে । হায় রে পুরুষ তোর এ কি রে পৌরুষ । অবলা জাতির প্রতি কেন রে পরুষ ? যারা হয় সংসার-সাগরে সার নিধি । মৃদু উপাদানচয়ে গঠিলেন বিধি । তাহাদের প্রতি কেন নৃশংস ব্যভার ? যতনের ধন তার সেহের অাঁধার । মাতিয়া সমর-মদে নাহি থাকে জ্ঞান ৷ সরলা মহিলাগণে কর অপমান । যুগ-যুগান্তরে তোর এ দারুণ রীতি । কিসের বড়াই নব্য সভ্যতার নীতি ? সভ্যশিরোমণি ফ্রান্স বিখ্যাত ভূতল। প্রজাতন্ত্রে তিরস্কৃত প্রমদামণ্ডল । পশু করে পশুবধ ক্ষুধার জালায় । পশু-চেয়ে পশু তুই সমর-খেলায়। বিজয়-মাদকে মাতি ধরি নারীগণে । দেহস্রষ্ট করি নষ্ট করহ জীবনে । মহা হাহাকার উঠে কাঞ্চীরাজ-পুরে । রুদিত রমণীকুল ভুকুরে ফুকুরে । অন্তঃপুর-মাত্র রক্ষা পাইল লুণঠনে । নিভূত বসিয়া নৃপ সহ স্বীয়গণে । অপমানে মিয়মাণ অস্থির পরাণ । অনলে হৃদয় যেন হয় দহ্যমান। অবসাদে হতচিত্ত অবশ-শৰীবে । ধীরে ধীরে যায় রায় গণেশ-মন্দিরে । ইষ্টদেব-সন্মুখেতে দণ্ডবৎ পড়ি। করযোড়ে স্তব করে যায় গড়াগড়ি । ‘‘নমো নমো গণপতি, নমো লম্বোদর নমো দেব দ্বৈমাতুর, নমো বিযুহল । নমো পুভো বিনায়ক গজেন্দ্ৰবদন । নমঃ পাৰ্বতীর প্রিয় হৃদয়-নন্দন । প্ৰসীদ পরশুপাণি, পৃভো নিরঞ্জন । একদন্ত, বক্ৰতুণ্ড, যুষিকবাহন।। হে হেরম্ব বামদেব, জটাজুটধর। নমঃ সিন্দূরভি খর্ব স্কুল-কলেবর । চতুৰ্ভুজ, ধৃত পাশাঙ্কুশ-বরাভয় । সারণে তোমার নাম সৰ্ব্বসিদ্ধি হয়। তুমি বন্ধজ্ঞানদাতা, বিধির বিধাতা । নাদবহ্মবীজরুপ, সৰ্ব্বতত্ত্বজ্ঞাতা । বিবৃহর । বিস্তু হর, হয়েছি কাতর। দোহাই, দোহাই, প্রভো দেব গণেশূর । তুমি মম কুলদেব, পুসিদ্ধ জগতে। লজ্বজানিবারণ মম কর কোনমতে। না জানি কি অপরাধ করেছি চরণে । নহে কেম পরাভৰ পাইলাম দুণে ?