পাতা:রঙ্গলাল-গ্রন্থাবলী.djvu/২০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমরে সর্বত্র জয় পুরুষানুক্ৰমে । কত রাজ্য দিলে দেব এ দাস অধমে । এখন এ দীনে কেন কর পরিহার ? চরণে পড়িয়ে প্রভো । মাগি পরিহার। বরদ । বরদী হও করুণ-নয়নে । কোন ছার গজপতি আমার সদনে ?” এইরূপে কাঞ্চীনাথ কাতর হৃদয়ে। কুলদেবে ডাকিছেন, ভক্তিনম হয়ে । ভাবিতে ভাবিতে নেত্রে নিদ্রার আবেশ । ঘোর বিভাবরী-ক্ষণে প্রাপ্ত প্রত্যাদেশ । “শুন, শুন, শুন রে কণাট-অধিপতি । কপাল ফাটল তোর, ওরে ছনুমতি । রে দুরাত্মা ! কি কারণে দেব নারায়ণে । নিদিলে শ্ৰীক্ষেত্রে গিয়ে গবিবত বচনে ? गा खांन, ना छन, मूठे cउनञ्जांनी श्रृंज ! সকল দেবতা মাত্র কলপনার ফল । যিনি হরি, তিনি হর, তিনি প্রজাপতি। তিনি লক্ষী সরস্বতী তিনিই পাৰ্ব্বতী। পুন: পুনঃ উপদেশ দেয় চতুৰ্বেদ। পামর পাষণ্ডগণ করে সব ভেদ । যদ্যপি ভালাই চাহ উপদেশ লহ । করহ প্রণয়সন্ধি গজপতি সহ । তোমার এ দেশে আমি রহিব না আর । অতঃপর আবির্ভাব উৎকলে আমার । চগুলি বলিয়া যারে নিদিলে দুৰ্ম্মতি । সে চণ্ডাল হবে, তব পদ্মাবতী-পতি ।” স্বপন হইল ভঙ্গ তপন উদয় । স্তম্ভিত হইল রায়, কম্পিত হৃদয় । সচিবে ডাকিয়া কহে স্বপু-বিবরণ। আর এ বিফল রণে কিবা প্রয়োজন ? এইক্ষণে গজপতি-সন্নিধানে যাও। পদ্মাবতী দিয়ে, সন্ধি নিবন্ধন চাও। অন্তঃপুরে মহামন্ত্রী পাঠাইল বাণী। মুচিছত মহিলা শিরে পদ্মপাণি হানি। গজ পতি-করে যথা কোকনদমালা । গজপতি-তরে তথা পদ্মাবতী বালা । শুকাইল মুখ যেল হেমন্ত-কমল । কর বিস-কিসজয় হইল নিশ্চল । বিষ্ণু বিন্দু অশ্রু ঝরে নয়নযুগলে । শিশিরনিকরে কিবা কুশেশয়-দলে। দুহিতার দশা দেখি মহিষী কাতর। শোকেতে অধীরা হয়ে পড়িলেন ধরা । রোদনের কোলাহল উঠে অস্তঃপুরে । আহ ! আহা । হাহাকার রব মাত্র সফুরে । যথা শেফালিকা-ফুল প্রভাত-প্রহরে। সুধীর সমীরে ভূমে বার-বার ঝরে। ধরাসনে পড়ে তথা বরাননাচয় । মহামন্ত্রী অন্তঃপুরে হইল উদয়। করযোড়ে কহিতেছে সজল-নয়নে । “কি ফল বল গে। আর্য্যে, বিফল রোদনে ? ভবিতব্য আছে যাহা ঘটিবে তাঁহাই । বিধির নিববন্ধ ছেদে কার সাধ্য নাই । কেন গো কাতরা এত বিষাদ অস্তরে ? কলিঙ্গের রাজলক্ষী হবে অন্তঃপুরে।” এত বলি কুমারীরে সঙ্গে লয়ে যায়। খনি হ’তে মহামণি হইল বিদায় । মহানবমীর নিশা প্রভাত সময়। দেবীর বিদায়কালে যে ভাব উদয় । সেই ভাব আবির্ভাব হ’ল কাঞ্চীপুরে। একভাবে সকলের অাখিযুগ ঝুরে । সচিব কন্যারে লয়ে অতি ত্বরান্ত্রিত। গজপতি-শিবিরে হইল উপনীত । রতুসিংহাসনোপরে প্রতাপে মিহির । বার দিয়ে বসিয়াছে গজপতি বীর। শূেতচছত্রে জলে কত মণিময় তারা । ঝুলিছে ঝালর তাহে গজমতি বারা । হীরার কলস উদ্ধে দিতেছে চমক । দণ্ডে হীরা মণি পান্না করে বকৃমকৃ। ঢুলাইছে চারি ভিতে ধবল চামর । শারদ নীরদ বেড়া যেন দিনকর । পুস্থিত গম্ভীর মূত্তি সচিবমণ্ডল। দেবগণে সমবেত যেন আখণ্ডল ৷ কাঞ্চীর সচিব সন্ধিপত্র দিয়ে করে । যথাবিধি সম্ভাব সঞ্চারি উক্তি করে । কহিছেন গজপতি আরক্ত নয়ন। "পতিজ্ঞা লঙঘন মম না হবে কখম ।