পাতা:রঙ্গলাল-গ্রন্থাবলী.djvu/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ম্মদৈবী প্রভাতের পাঁপাতে নীহারের হার । আহা মরি মরি কিবা মাধুরী তাহার। শুখায়েছে শুধাধর লোহিত অধর । ভানু-করে যথা ভূচম্পক পুষ্পবর। তথাপি কিঞ্চিৎ শাস্তি অনুভূত নয়। বলিচক্র-প্রতি সবে স্থিরনেত্রে রয়। মহা কৌতুহল মনে একাগ্ৰ অন্তর। বীরত্ব বিক্রম করে নয়ন-গোচর । সেই রসে সুরসিক সকল মহিলা । পরাক্রমে এক এক প্রমদা প্রমীলা । বীরত্ববিহীন রূপে রতিপতি পায়। হেন জনে কটাক্ষে কদাচ নাহি চায় । অপূর্ব সাধুর শিক্ষা দেখিছে সকলে। শোভিছে কুমার সম রঙ্গভূমি স্থলে । তারকা অসুর প্রায় পরীক্ৰমযুত । কত কত প্রতিযোগী হৈল পরাভূত। চাচিক চৌহান সঙ্গে অপূর্ব কৌশল। দুই বীর উদ্ধ শির প্রচণ্ড প্রবল । অসি-হস্ত দুই মস্ত অশে আরোহণ। ধনপীকে বলিচক্রে করিছে ভ্ৰমণ । মাথায় ঘুরিছে অসি কত শত পাকে । কন্তু বা তর্জন করি ফেরে তাঁকে ডাকে । কন্তু চারিভিতে ঘুরাইছে তরবার। কিছুমাত্র দৃষ্ট নাহি হয় দেহ কার। কন্তু তরবারে তরবারে ঘোর রণ। খচাখচ, ঝনঝন ভীষণ নিঃস্বন।। হেন স্থির লক্ষ্য করি চালাইছে আসি । অতি বেগবতী যেন তারা পড়ে খসি । বোধ হয় কাটা গেল সাধুর শরীর। হের কিবা ব্যর্থ তারে করিতেছে বীর । চকিতে ঘুরায়ে ঢাল ঢাকি নিজ শির। লাঞ্ছনা করিল প্রতিযোগীর অসির। ঘুরায়ে আপন অস্ত্র হানে হৰি হৰি । খাৰু খাৰু ভেঙ্গে পড়ে তরবারখান। মারিতে উদ্যত পুন: খঞ্জর পসারি। চৌহান বিহতজ্ঞান সহিতে না পারি। মধ্যস্থ সময় বুঝি মধ্যে খাড়া হয়। निवद्धिग्रा याग्र गांधू नंदन जग्न घग्न ॥ aめ লোকীরণ্য অগণ্য সুধন্য ধবনি করে । “সাধু সাধু, সাধু সাধু”, কহে যত নরে। মাণিক্য অসিন থেকে করি গাত্রোন্ধান । ইঙ্গিতে আপন স্থানে করেন আহবান । মঞ্চোপরি বসি যথা সীমস্তিনীগণ । সেই দিক হয়ে সাধু করিছে গমন । রঙ্গে ভঙ্গে তুরঙ্গ যাইছে বীরে ধীরে । আপাদ-মস্তক সুতি পরিশম-নীরে। মেঘনাদ নাম তার, মেঘবর্ণ ধর । মদগবে মত্তগতি ফুল্ল কলেবর । নিজ প্ৰভু জয়-লব্ধ সমর-শিক্ষায় । মহানন্দে হ্ৰেষা শবদ করে উভরায় । সাধুরে নিকটে হেরি বরারোহাগণ । ধারাকারে কবিছে কুসুম-বরিষণ । গোলাব, স্বেবতি, নাগকেশর, কেশর। ভূচম্পক, চম্পক, অশোক শোভাকর। কুরুবক নানাজাতি সিতাসিত পীত । পলাশ, পনুগি, পর, পদু পোল্মীলিত । মল্লিকা, মালতী, মধু-মাধবী মঞ্জরী। আর আর কত মত কুসুম-বল্লরী । সুশীতল মলয়জে মাখা সব ফুল। श्वब्रिज शबज बनं गांधूब नूकृत्व । এমন সময়ে দেখ অপূর্ব ঘটনা । হেমথাল করে এক নবীন ললনা । কুসুমের মালা তাহে শোভে মনোহর। ধীরে ধীরে গতি করে যথা বীরবর। তুরঙ্গ রাখিল সাধু প্রমদা নিরখি। কহিতে লাগিল কথা কুমারীর সখী। “ধর, ধর রাজপুত্র, এ কুসুম-হার। কুমারী শ্ৰীকৰ্ম্মদেবী-কৃত পুরস্কার । দেখাইলে রঙ্গভূমে শিক্ষা চমৎকার । তব যোগ্য পুরস্কার আছে কি বা আর ? করিলেন সমর্পণ পাণি সহ প্ৰাণ । এই কুমুমের হার তার অভিজ্ঞান।” এত বলি সীমস্তিনী মালা দেয় করে । উচৈচঃস্বরে কহে সাধু অশের উপরে। "শুন শুন সভাস্থ সমস্ত জনগণ । কৰ্ম্মদেবী দত্ত এই মাল্য সুশোভন ।