পাতা:রঙ্গলাল-গ্রন্থাবলী.djvu/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

«©o ब्रत्रेज़ील গ্রন্থাবলী নানারূপ তাঁর রাগ, শোভিছে বদন-ভাগ, কিরূপে তা করিব বর্ণন । কত বর্ণ ফলাইতে, আছে কেব। এ জগতে, চিত্র করে কেব। হেন জন । যদি হেন থাকে. কেহ, যথা ইন্দ্ৰধনু দেহ, তুলী তুলি ডুবাইয়ে তলায়। লেখে প্রতিকৃতি তার, তবে বুঝি সে শোভার, কিঞ্চিৎ প্রকাশ পূতিভায়। সেইরূপ কিব। আর, বণিব সেভাব তার, কত ভাব কত রাগ ধরে । বাড়িল হৃদয়ে ব্যথা, পাতে ইন্দিবরে যথা, বিন্দু বিন্দু নীহার নিঃসরে। সেইরূপ অশ্ৰুধার, বিগলিত মুক্তাকার, নিপতিত সাধুর বদনে । জাগিয়ে উঠিল বীর, "কেন কেন ?’ জিজ্ঞানে সঘনে । “কেন কেন কেন পুন: বিঘণু বদনাম্বুজ তব হে। হায় হায়. প্ৰাণ যায়, জাগিয়ে পোহীলে নিশি সব হে । অতি অাদরের তুমি, যতন-বিরহে বুঝি মম হে। নিদ্রা না যাইলে পাণ, অাজ রীতি কাল-রীতি সম হে । গত দিন নরপতি যে কহিল বিদায়ের কালে হে । যতন করিতে তোমা, যথা উপযুক্ত ভূপ-বালে হে । কি ছাঁর কুরীতি মম, যে দিন পাইনু সেই ভার হে। সেই দিন অনায়াসে হেলন করিনু আমি তার হে। ক্ষম অপরাধ মম, পিয় মম, প্রাণের আধার হে। আর হেন দোষ কভু না হইবে, পেয়সি, আমার হে। এসে এসে মম কোলে, শাস্তি দূর কর কিছুক্ষণ হে। खांश्रीब्रहनं छूजूछूलू, छ्ज छ्ल पूर्शल नग्रन cथ् । তাহে "মম অনাদরে, ধারাকারে সলিল বহিছে হে । গহে না সহে না, সেই জলে মম হৃদয় দহিছে হে । দেখি ভাব পেয়সীর. দেখিহ দিবসে আজি, , তব দাস-বিক্রম-প্রতাপ, হে । শুভ যাত্রা হয় যাহে তাই কর পিয়ে ত্যজিয়ে বিলাপ হে।” কৰ্ম্মদেবী কন, “নাথ এ কি ব্যবহার । , কেন মিছে অনুযোগ কর আপনার । তুমি যথা আছ মম রোদনে কি কাজ। . . সত্যকথা কহি নাথ পরিহরি লাজ । তুমি নিদ্রা গেলে সখে মম নিদ্রা নাই। তাহে শত্রু নিকটেতে মনে ভয় পাই । কি জানি নিশীথকালে বুঝিয়ে সময় । ছলে বলে আসি যদি তব প্ৰাণ লয়। প্রহরী হইয়ে গেল তৃতীয় প্রহর । নিদ্ৰা আসি নেত্রদ্ধারে হলো অগ্রসর। তেই সে অলসে আখি অশ্রুভারে নত। মিছে আত্ম অনুযোগ কর নাথ কত। নিদ্রা না হইবে গতপ্রায় বিভাবরী। যাই গিয়ে জাগাই হে যত সহচরী । চন্দনীর চারু জলে করিব হে সুনি । পূজিব তাহার তীরে দেব ভগবান। তোমার মঙ্গল নাথ, লইব মাগিয়ে । বিধিমতে ইষ্টলাভ এ নিশি জাগিয়ে । করিব মঙ্গলাচাঁর মঙ্গল সারিয়ে । দেখাব হে পূৰ্ণঘট নয়ন ভরিয়ে । আমারে আদর কর মৃগাক্ষী বলিয়ে। দেখিব সে মৃগ যবে যাবে হে চলিয়ে। বামে শব চাই প্ৰভু রব শবাকার। যদবধি চাদমুখ না দেখিব আর ।” এত শুনি সাধুর নয়নে অশ্ৰুধার। চুম্বই চন্দ্রমামুখে অমৃতের ধার। উঠিয়া হসিতর্মুখী হিরণ্য-বরণী । উষাতে উষার প্রায় পূকাশে ধরণী । যায় যথা সর্থীকুল নিদ্রায় আকুল। নিশায় মুদিত যেন দিবসের ফুল। কারু চারু কবরী লোটায় ধরাতলে। . নামিল নিবিড় মেঘ বুঝি ভূমণ্ডলে। নিদ্রাযোগে মুখে হাসি সৌদামিনী প্রায় । ক্ষণে ক্ষণে দেখা দেয় ক্ষণে লোপ পায় ৷